জন্ডিস কী?
লিভারের এক ধরনের কাজ হলো বিলিরুবিন নিঃসরণ করে রক্তে উন্মুক্ত করা যা পরবর্তীতে কিডনীতে পরিশোধিত হয়ে মূত্রের মাধ্যমে দেহের বাইরে বেড়িয়ে যায়। আমাদের শরীরের লোহিত রক্ত কণিকা স্বাভাবিক নিয়মে ভেঙ্গে গিয়ে বিলিরুবিন তৈরী করে। লোহিত কণিকার এ ভাঙ্গন ও বাকি সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এই লিভারে। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা অত্যধিক বেড়ে গেলে তাকে জন্ডিস বলে। বিলিরুবিন হলুদাভ রঙের হওয়ায় এটি বেড়ে গেলে মূত্রের রঙ অত্যধিক হলুদ এমনি কমলা রঙের হয়ে যেতে পারে। চোখের পাতা এবং মুখমন্ডলের রঙও হলুদাভ ও ফ্যাকাশে হয়ে যায়। রক্তে বিলিরুবিনের স্বাভাবিক ঘনত্ব হলো ১.২ mg/dL। জন্ডিস হয় যদি রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা ৩ mg/dL এর উপরে চলে যায়।
জন্ডিস কেন হয়?
জন্ডিস নির্দিষ্ট কোনো রোগ নয়। এটি বিভিন্ন রোগের উপসর্গ। জন্ডিস হলে রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। বিলিরুবিনের এ পরিমাণ বেশ কয়েক উপায়ে বেড়ে গিয়ে জন্ডিস হতে পারে। রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াকে হাইপারবিলিরুবিনেমিয়া বলে। প্রধান কয়েকটি কারণ হলো :-
- বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণে জন্ডিস হতে পারে। যেমন : হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি ইত্যাদি।
- অত্যধিক এলকোহল সেবনের ফলে এ রোগ হতে পারে।
- অটোইমিউন ডিসঅর্ডার বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিজের শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করলে।
- বিরল জেনেটিক রোগের মাধ্যমে।
- কিছু ওষুধের কারনেও জন্ডিস হয়। যেমন : এসিটামিনোফেন, পেনিসিলিন, ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ, ক্লোরপ্রোমাজিন, ইস্ট্রোজেনিক বা এনাবলিক স্টেরয়েড ইত্যাদি।
- পিত্তথলিতে পাথর হলে।
- পিত্তথলিতে ক্যান্সার হলে।
- অগ্ন্যাশয়ে টিউমার হলে।
- লিভার সিরোসিস রোগ হলে।
- হিমোলাইটিক এনিমিয়া রোগ হলে।
জন্ডিস এর লক্ষণ
জন্ডিসের কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ বা উপসর্গ নিচে দেওয়া হলো :
- শরীরের ত্বক এবং চোখের সাদা অংশ হলদেটে ও ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া। এটি জন্ডিসের অন্যতম প্রধান একটি লক্ষণ।
- গাঢ় হলুদ বা প্রায় কমলা রঙের প্রস্রাব হওয়া। প্রস্রাবের সাথে অতিরিক্ত বিলিরুবিন যাওয়ার কারনে প্রস্রাবের রঙ হলুদ হয়।
- শরীর ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে যাওয়া।
- তলপেটে ব্যথা হওয়া। তলপেটে ব্যথা জন্ডিসের একটি মারাত্মক লক্ষণ এবং এ লক্ষণ প্রকাশ পেলে রোগীকে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
- শরীরের ওজন কমে যাওয়া। এসময় ক্ষুধামন্দা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি পিত্তরস উৎপাদন কমে যাওয়ার কারনে খাদ্য হজমেও ব্যাঘাত ঘটে। যার ফলে শরীরের ওজন দ্রুত কমে যায়।
- বমি হওয়া। এ সময় লিভারের কাজে সমন্বয় না থাকার কারনে বমি হতে পারে।
- জ্বর আসা। এটিও জন্ডিসের অন্যতম প্রধান একটি লক্ষণ। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় হলে সাধারণত জ্বর আসে। জন্ডিসের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একই। কিন্তু অতিরিক্ত জ্বর মোটেও ভালো নয়।
- শরীরে চুলকানি হওয়া। এটিও জন্ডিসের অন্যতম একটি লক্ষণ।
- ক্ষুধামন্দা দেখা দেওয়া। এসময় পিত্তথলি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না এবং সঠিকভাবে পিত্তরস পরিবহন করতে পারে না বিধায় ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়।
- মলের রং ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া। জন্ডিস হলে অমেকসময় লিভারের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটে যার ফলে বিলিরুবিন উৎপাদন ব্যহত হয়। এসময় মলের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
জন্ডিস টেস্ট
জন্ডিস নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে চিকিৎসক প্রথমেই যে টেস্টটি দিবে তার নাম হলো বিলিরুবিন ব্লাড টেস্ট।
বিলিরুবিন ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা নির্ণয় করা হয়ে থাকে। প্রথমে রোগীর শরীর থেকে রক্ত নেওয়া হয়। রক্ত দেওয়ার ৪ ঘন্টা আগ থেকে রোগীকে কোনো প্রকার খাবার ও পানীয় পান করানো যাবে না। রোগীর রক্ত ল্যাবরেটরিতে নিয়ে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা নির্ণয় করা হয়।
বিলিরুবিন ব্লাড টেস্টটি নরমাল আসবে যদি –
১। ডিরেক্ট বা কনজুগেটেড বিলিরুবিন ০.৩ mg/dL এর কম হয় এবং
২। টোটাল বিলিরুবিন ০.১ থেকে ১.২ mg/dL এর মধ্যে হয়।
উপরের উল্লেখিত মাত্রা থেকে যদি বেশি আসে তাহলে রোগীকে জন্ডিসে আক্রান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
বিলিরুবিন ব্লাড টেস্ট ছাড়াও একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আর যেসব টেস্ট দিতে পারেন তা হলো :-
১। হেপাটাইটিস ভাইরাস প্যানেল।
২। লিভার ফাংশন টেস্ট।
৩। CBC বা কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট।
৪। অ্যাবডোমিনাল আল্ট্রাসাউন্ড।
৫। অ্যাবডোমিনাল সিটিস্ক্যান।
৬। লিভার বায়োপসি।
৭। ম্যাগনেটিক রিসোন্যান্স কোলানজিওপ্যানক্রিয়েটোগ্রাফি (MRCP)
৮। এন্ডোসকপিক রেট্রোগ্রেড কোলানজিওপ্যানক্রিয়েটোগ্রাফি (ERCP)
৯। পারকিউটেনাস ট্রান্সহেপাটিক কোলানজিওগ্রাম (PTCA)
১০। কোলেস্টেরল লেভেল।
১১। প্রোথ্রোম্বিন টাইম।
আরও পড়ুন : সাইনুসাইটিসের লক্ষণ ও কারনগুলো জেনে নিন
জন্ডিস হলে করণীয়
জন্ডিস হলে যা করবেন তা হলো :-
- চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনো ওষুধ গ্রহণ করা যাবে না।
- পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।
- প্রচুর তরল পান করতে হবে।
- নরম ও সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে।
- বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে কেননা পানির মাধ্যমে হেপাটাইটিস ‘এ’ ও ‘ই’ ছড়ায়।
- শরীরে রক্ত নেওয়ার প্রয়োজন হলে নতুন সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।
- রোগীকে বাইরের খাবার পরিহার করতে হবে।
- জন্ডিসের লক্ষণ দেখা দিলে হেলাফেলা না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হবেন।
- এলকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে।
- নিয়মিত বিলিরুবিন চেকআপ করতে হবে।
জন্ডিসের চিকিৎসা
যেহেতু জন্ডিস নির্দিষ্ট কোনো রোগ নয় তাই এ রোগের তেমন চিকিৎসাও নেই। তবুও জন্ডিস নিয়ে হেলাফেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে কেননা চিকিৎসক বিভিন্ন টেস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন কিসের জন্য রোগীর শরীরে জন্ডিস হয়েছে এবং ঐ রোগটির চিকিৎসা করবেন। আবার জন্ডিসের পাশাপাশি অন্য সমস্যা থাকলে সেটা দূরীকরণেও চিকিৎসক পরামর্শ দিবেন। যেমন জন্ডিসের কারনে শরীরে চুলকানি হলে চিকিৎসক চুলকানি নিরাময়ের ওষুধ দিবেন যেমন কোলেস্টাইরামিন। এসময় অযথা ওষুধ সেবন করা যাবে না। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশংকা বেশি।
আরও পড়ুন : ডায়াবেটিসের লক্ষণ, চিকিৎসা ও কমানোর উপায়
জন্ডিসের ঘরোয়া চিকিৎসা
যেহেতু জন্ডিসে ওষুধ যথাসম্ভব কম সেবন করাই উত্তম, সেহেতু ঘরোয়া পদ্ধতিতে জন্ডিসের চিকিৎসা বেশ কার্যকরী। পদ্ধতিগুলো অবশ্যই বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত হতে হবে। কিছু কার্যকরী ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো হলো :-
১। আঁখের রস
দিনে কয়েকবার আঁখের রস পান করা। এটি আমাদের দেশে বেশ সহজলভ্য। তবে অবশ্যই বাহিরে বিক্রি করা আঁখের রস পরিহার করতে হবে। বাড়িতেই আঁখের রস বানিয়ে নিয়মিত খাওয়া যায়।
২। টমেটোর রস
শীতকালে টমেটো আমাদের দেশে অত্যন্ত সহজলভ্য। টমেটোর রসে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন থাকায় এটি রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
৩। ঘোল
প্রতিদিন এক গ্লাস ঘোলের সাথে সামান্য গোলমরিচে গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
৪। পেঁপে পাতা
পেঁপে পাতায় পাপাইন নামক এনজাইম থাকায় এটি জন্ডিস নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে। পেঁপে পাতা ভালো করে ছেঁচে এর সাথে মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে সেবন করা যেতে পারে।
৫। কালোজিরা
কালোজিরা এমন একটি উপাদান যাকে সর্বরোগের মহৌষধ বলা হয়ে থাকে। কালোজিরায় বিদ্যমান বিভিন্ন উপাদান জন্ডিস নিরাময়ে সাহায্য করে।
৬। পুদিনা
পুদিনা চা জন্ডিস নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে। প্রাচীনকালে জন্ডিস নিরাময়ে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো। তাছাড়া পুদিনা পাতার রস মধুর সাথে মিশিয়েও সেবন করা যায়।
৭। মুলার জুস
মুলা এবং মুলা পাতার জুস জন্ডিসের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মুলা এবং মুলার পাতা ভালো করে ছেঁচে রস বের করে খেলে এ রোগে ভালো উপকার পাওয়া যায়। এটি খিদে বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার করে।
৮। ছাগলের দুধ
ছাগলের দুধে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি উপাদান থাকায় এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো। এর মধ্যে থাকা এন্টিবডি জন্ডিস নিরাময়ে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক কাপ ছাগলের দুধ পান করা অত্যন্ত উপকারী।
৯। লেবুর শরবত
লেবুর রসে শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন ৩-৪ গ্লাস লেবুর শরবতের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে জন্ডিসে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
১০। দই
প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই রক্তে বিলিরুবিন লেভেলকে কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিছু পরিমান টকদই জন্ডিসের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
আরও পড়ুন : নিউমোনিয়া কি প্রাণঘাতি? আজই নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করুন।
জন্ডিস রোগীর খাবার তালিকা
জন্ডিস রোগী মোটামুটি সবধরনের খাবার এ খেতে পারবে। তবে কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই উত্তম। যেমন : বাইরের ভাজা পোড়া খাবার, চর্বিজাতীয় খাবার (ঘি, মাখন, ভাজা খাবার, ফাস্টফুড, গরু খাসির মাংস) ইত্যাদি। এসকল খাবার উচ্চ ক্যালরিযুক্ত এবং হজম হতে বেশ সময় লাগে। পাশাপাশি এসকল খাবার হজমে যকৃতের অনেক কাজ করতে হয়। জন্ডিসের সময় যকৃত কিছুটা দূর্বল থাকে বিধায় এসকল খাবার হজমেও সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই জন্ডিস রোগীদের সহজ হজমযোগ্য খাবার খাওয়া উচিত। যেমন : শরবত, প্রচুর তরল জাতীয় খাবার, পানি, ফলের জুস, ভাত, জাউভাত, সুজি, রুটি, শাক সবজি, ফাইবার জাতীয় খাবার, লেবু, বাদাম, মাছ, মুরগী, ডাল, টমেটো, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, তরমুজ, আনারস ইত্যাদি।
জন্ডিস কতদিন থাকে (সময়কাল)
শিশুদের জন্ডিস সাধারণত ২ সপ্তাহ থেকে একমাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। পূর্ণবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্ডিস কতদিন স্থায়ী হবে সেটা নির্ভর করবে কিসের কারনে জন্ডিস হয়েছে। যে কারনে জন্ডিস হয়েছে সে কারনের উপর ভিত্তি করে এটি শর্টটার্ম থেকে লংটার্ম পর্যন্ত হতে পারে। যেমন : ধরুন যদি আপনার জন্ডিস কোনো একটি ইনফেকশনের কারনে হয়ে থাকে, তাহলে আপনার জন্ডিস তখন ভালো হবে যখন আপনার ইনফেকশন আস্তে আস্তে উন্নতির দিকে যাবে। আবার ধরুন যদি আপনার জন্ডিস কোনো ওষুধের কারনে হয়ে থাকে, তাহলে আপনার জন্ডিস তখন ভালো হবে যখন আপনি ওই ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দিবেন। যদি আপনার জন্ডিস পিত্তপাথরের কারনে হয়, তাহলে আপনার জন্ডিস তখন ভালো হবে যখন আপনার পিত্তপাথর অপসারণ করা হবে।
Frequently Asked Questions (FAQs)
প্রশ্ন : বিলিরুবিনের মাত্রা কত হলে জন্ডিস হয়?
উত্তর : বিলিরুবিনের মাত্রা ৩ mg/dL এর বেশি হলে তখন তাকে জন্ডিস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রশ্ন : জন্ডিস হলে কি কি সমস্যা হয়?
উত্তর : শিশুদের ক্ষেত্রে গর্ভের বাচ্চা প্রায় ৩৭-৩৮ সপ্তাহ পূর্বেই জন্ম নেওয়া, গর্ভবতী মায়ের যদি একটি বাচ্চা জন্ডিসে আক্রান্ত হয় তাহলে পরবর্তী বাচ্চাগুলোর ও জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, মায়ের স্তন্যদানে সমস্যা তৈরী হয় ইত্যাদি।
প্রশ্ন : জন্ডিস রোগে কোন অঙ্গটি আক্রান্ত হয়?
উত্তর : লিভার বা যকৃত।
প্রশ্ন : জন্ডিস কি পানিবাহিত রোগ?
উত্তর : জন্ডিসের জন্য দায়ী কিছু ভাইরাস পানির মাধ্যমে ছড়ায় কিন্তু জন্ডিসে জন্য দায়ী সবকিছু পানিবাহিত নয়।
Disclaimer :এ ওয়েবসাইটে দেওয়া সকল তথ্য শুধুমাত্র জানার জন্য। রোগীকে সরাসরি না দেখে এবং রোগীর পরীক্ষা না করে রোগ এবং রোগের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই নিজে নিজে কোনো ওষুধ খাবেন না। অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।