সাইনুসাইটিস কি?
আমাদের মুখমন্ডলে নাকের চারপাশের হাড়ের মধ্যে কিছু ফাঁপা স্থান থাকে। এইসকল ফাঁপা স্থানকে সাইনাস (sinus) বলে। এই সাইনাসের ভিতরে সৃষ্ট প্রদাহ-কে সাইনুসাইটিস বলে। অর্থাৎ কোনো কারনে যদি হাড়ের এই ফাকা স্থান গুলোর মধ্যে ইনফেকশন হয়ে প্রদাহ শুরু হয়, তবে তাকে সাইনুসাইটিস বলা হয়।
সাইনাস কি?
সাইনাস হলো আমাদের মুখমন্ডল ও মাথার হাড়কে হালকা রাখার জন্য শরীরের এই অংশের হাড়ের চারদিকে কিছু বায়ু ছিদ্র আছে। এই বায়ুকুঠুরি গুলোকে সাইনাস বলা হয়। নাক, চোখের পাশে ও কপালের দুই সাইডে এই সাইনাস অংশ গুলোর অবস্থান। আমাদের মুখমন্ডলের মধ্যে কপালের দুই পাশে ফ্রন্টাল সাইনাস নামের দুইটি সাইনাস থাকে। মস্তিস্কের কঙ্গকালের হাড়ের অংশে স্ফিনয়ডাল এবং ইথময়ডাল নামক দুটি অংশ রয়েছে। এই সাইনাস গুলোর সঙ্গে নাক ও কানের সংযোগ রয়েছে যার ফলে নাকের সংক্রমন থেকে সাইনাসের প্রদহ হতে পারে।
সাইনুসাইটিস এর লক্ষণ
- এই রোগের প্রধান উপসর্গ হলো প্রচন্ড মাথা ব্যাথা। যদিও এটি সংক্রমিত স্থান অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। এক্ষেত্রে, নাকের উপরে, উপরের চোয়ালে, কপালে, চোখের নিচের অংশের মতো নাকের আশে পাশের ও সাইনাসের মুল স্থান গুলোতে ব্যাথা ও প্রদাহ অনুভব করা সাইনাসের অন্যতম লক্ষন ।
- ঘুম ভাঙ্গার পরপর-ই মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূত হওয়া। এই লক্ষনটি-ই সাইনাসের প্রদাহের প্রধান লক্ষন ।
- নাক দিয়ে ঘন ঘন পানি বা সর্দি বের হওয়া । এক্ষেত্রে সর্দির ধরন হালকা বা ঘন হতে পারে এবং এর রঙ হালকা বাদামী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- রোদে গেলে বা মাথা নিচু করে কাজ করলে কপাল ও মাথার দিকে ব্যাথা বৃদ্ধি পায় ।
- শ্বাস নেয়ার সময় শ্বাসনালী অবরুদ্ধ মনে হওয়া। এটি মূলত নাকে থাকা সর্দি ও মাংসপেশি ফুলে গিয়ে শ্বাসনালী সংকুচিত হয়ে যাওয়ার কারনে হয়ে থাকে।
- ঘ্রান ও স্বাদ গ্রহনের ক্ষমতা কমে যাওয়া। এটি নাক, দাঁত ও মুখের ইনফেকশনের কারনে হয়।
- নাক, চোখের নিচের অংশ এবং গলা হালকা ফুলে যাওয়া।
- শ্বাস-প্রশ্বাসে দূর্গন্ধ হয়।
সাইনুসাইটিস এর কারন
সাইনুসাইটির হওয়ার জন্য একাধিক কারন রয়েছে। এর মধ্যে দাঁত, নাক ও চোখের অসুখ অন্যতম। এছাড়াও এলার্জি, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস জনিত ইনফেকশন এবং দীর্ঘদিন ধরে ঠান্ডায় ভোগার ফলেও সাইনাসের প্রদাহ বা সাইনুসাইটিস হতে পারে।
- নাকের ইনফেকশন
নাকের বিভিন্ন ইনফেকশন বা অসুখ যেমন নাকে হওয়া টিউমার, নাকের পলিপ, নাকের হাড় বাঁকা থাকা এবং নাকের মাংস ফুলে গিয়ে নাকের ছিদ্র ছোট হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা থেকে সাইনাস ছিদ্র গুলোতে ইনফেকশন হয়ে সাইনাসে প্রদাহ শুরু হতে পারে। তাছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে জন্ম থেকে নাকের পেছনের ছিদ্র গুলো বন্ধ থাকার ফলেও তা থেকে সাইনাসের সমস্যা হতে পারে।
- দাতের অসুখ
দাতের কোনো প্রকার ইনফেশন থেকে সেই ভাইরাস/ব্যাকটেরিয়া মুখমন্ডলের হাড়ে সেই ছিদ্র/সাইনাসে প্রবেশ করে প্রদাহ শুরু করতে পারে। এক্ষেত্রে দাঁতের গোঁড়ায় পচন ধরা ও মাড়ির ইনফেকশন অন্যতম কারন।
আরও পড়ুন : জন্ডিস এর লক্ষণ ও জন্ডিস হলে করনীয় কী?
- এলার্জি
ডাস্ট এলার্জি ও সাধারন ঠান্ডা জনিত কারনে নাকে সর্দির সমস্যা হয় এবং এর ফলে নাকে ইনফেকশন হতে পারে। যা পরবর্তীতে সাইনাসে ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে সাইনুসাইটিস-এ রূপ নিতে পারে।
- ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সংক্রমন
বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমনের ফলে নাক ও কপালের সাইনাসের ছিদ্রগুলোকে বন্ধ করে দিতে পারে। যার থেকে প্রচন্ড প্রদাহ ও মাথাধরা দেখা দেয়।
- দীর্ঘদিন ধরে ঠান্ডায় ভোগা
দীর্ঘদিন ধরে ঠান্ডায় ভোগার ফলে সহজেই নাকে ইনফেকশন হতে পারে। তাতে করে নাকের সাইনাস ও সংক্রমিত হতে পারে এবং সাইনাসের মুখের ছিদ্র গুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাছাড়া নাকে ইনফেকশন থেকে ব্যাকটেরিয়া অনুজীব ও নাকের সাইনাসে প্রবেশ করার মাধমে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
সাইনুসাইটিসের প্রকারভেদ
সমস্যা ভেদে সাইনুসাইটিস মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকেঃ
১। তীব্র/ম্যাগজিলারি সাইনুসাইটিস।
২। ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি সাইনুসাইটিস।
সাইনুসাইটিসের চিকিৎসা
সাইনুসাইটিসের রোগ নির্নয় পদ্ধতি
সাইনুসাইটিসের কয়েক ধরনের চিকিৎসা রয়েছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসক কোন উপায়ে আপনার সমস্যার সমাধান করবেন তা নির্ভর করে আপনার উপসর্গের উপরে। এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম ধাপ-ই হলো নাকের ভিতরের অবস্থা পর্যবেক্ষন করে দেখা। এই ডায়াগনোসিস করার জন্য কয়েকটি উপায় আছে। যা হলোঃ
১। নাকের এন্ডোস্কোপি করা
এই পদ্ধতিতে নাকের ভিতরে একটি চিকন এবং ফ্লেক্সিবল নল প্রবেশ করানো হয় যার অগ্রভাগে একটি ফাইবার অপটিক বাল্ব লাগানো থাকে এর মাধ্যমে চিকিৎসক নাকের ভিতরের অবস্থা দেখে তা অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিয়ে থাকেন।
২। সিটি স্ক্যান
সিটি স্ক্যান নাকের ভিতরের সাইনাস ও তার আশেপাশের এলাকার একটি ডিটেইল্ড তথ্য পেতে চিকিৎসককে সাহায্য করে। এতে করে লুকায়িত যেকোনো সমস্যা সহযেই ধরতে পারা যায়। বিশেষ করে কোনো প্রকারের ইনফেকশন সহযেই ধরতে পারা যায়।
৩। এলার্জি পরীক্ষা
যদি চিকিৎসক কোনো কারনে মনে করেন যে আপনার এলার্জির কারনে সাইনুসাইটিস এর সমস্যা হচ্ছে তখন তিনি আপনাকে স্কিনের এলার্জির পরীক্ষা করতে পরামর্শ দিতে পারেন। কারন স্কিনের এলার্জির প্রদাহ যদি সাইনাস এরিয়া তে হয় তবে এর ফলেও আপনার সাইনুসাইটিস এর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪। সর্দির স্যাম্পল থেকে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পরীক্ষা
যদিও এটি শুধু মাত্র জটিল সমস্যার ক্ষেত্রেই করা হয়, কিন্তু এটি ও একটি অন্যতম উপায় সাইনুসাইটিস নির্নয়ের জন্য। যখন রোগের কারন নির্নয়ের জন্য এলার্জি ও ভিজুয়াল পরীক্ষা গুলো কাজে দেয় না তখন এই পরীক্ষার মাধমে দেখা হয় যে কোনো প্রকার ব্যাকটেরিয়ার আক্রমনে রোগের সৃষ্টি হলো কিনা।
চিকিৎসা
যদি রোগের কারন এলার্জি হয়ে থাকে তবে শুধুমাত্র এলার্জির ঔষুধ সেবনের মাধমেই রোগ থেকে মুক্তি বা সাময়িক নিরাময় পাওয়া যায়।
তাছাড়া রোগের মাত্রা সাধারন পর্যায়ের হলে শুধুমাত্র নাকের ড্রপ বা স্প্রে ব্যাবহারের মাধ্যমেই প্রদাহ থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। এই স্প্রে গুলো নাকের ভিতরে সাইনাসের প্রদাহ, ইনফেকশন ইত্যাদি থেকে নিরাময় বা সাময়িক স্বস্তি পেতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আপনি স্প্রে অথবা ড্রপ-এর মধ্যে কোনটি এবং কোন মাত্রায় সেবন করবেন তা অবশ্যই সঠিক ভাবে রোগ নির্নয় এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করবেন।
বিভিন্ন ব্যাথানাশক ঔষধ যেমন এসিটামিনোফেন, ইবুপ্রোফেন বা এসপিরিন জাতীয় ঔষধ সেবনের মাধ্যমেও প্রদাহ থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। তবে এসপিরিন সেবনের ক্ষেত্রে রোগীর বয়স অবশ্যই ৩ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে। তাছাড়া শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রেও এসপিরিন জাতীয় ঔষধ সেবনের ক্ষেত্রে কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। যেমন, চিকেনপক্স বা ফ্লু জাতীয় রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে এসপিরিন জাতীয় ঔষধ সেবনে রেয়ে সিন্ড্রোম জাতীয় রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এটি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম কিন্তু একবার হলে তা রোগির জীবন ঝুকিতে ফেলে দিতে সক্ষম। এজন্য অবশ্যই যেকোনো ঔষধ সেবনের পূর্বে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার অনুরোধ থাকবে।
যদি রোগের কারন ব্যাকটেরিয়াজনিত হয়ে থাকে তাহলে চিকিৎসকেরা আপনার রোগ নিরাময়ের জন্য অপেক্ষে করেন এবং রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষন করে থাকেন। যদি, এমনটা হয় যে, কোনো কারনে রোগের মাত্রা বেড়ে গুরতর পর্যায়ে চলে যায় তখন-ই শুধুমাত্র চিকিৎসকেরা এন্টিবায়োটিক সাজেস্ট করে থাকেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই এন্টিবায়োটিক ঔষুধের সম্পূর্ন কোর্সটি শেষ করবেন। যদি রোগী সাময়িক সুস্থতা লাভ করার পর কোনো কারনে ঔষধ নেয়া বন্ধ করে দেয় তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই রোগটি পুনরায় আরো ভয়ংকর ভাবে দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন : ব্রেইন স্ট্রোক হলে করনীয় – লক্ষণ ও চিকিৎসা
সাইনুসাইটিসের ঔষধ
সাইনুসাইটিসের রোগের ধরন/কারন ও মাত্রার উপর ভিত্তি করে চিকিৎসকেরা বিভিন্ন ধরনের ও মাত্রার ঔষধ প্রেসক্রাইব করে থাকেন।
এক্ষেত্রে ব্যাথানাশক বা প্রদাহ থেকে নিরাময়ের জন্য এসিটামিনোফেন অথবা ইবুপ্রোফেন জাতীয় ঔষধ কার্যকরী। এসকল ঔষধ মুখমন্ডলের ব্যাথা ও মাথাব্যাথা/মাথাধরা থেকে রোগীকে সাময়িক প্রশান্তি দিতে সাহায্য করে।
ডিকনজেস্ট্যান্ট জাতীয় নাকের স্প্রে/জেল/ড্রপ গুলো নাক বন্ধ হয়ে থাকা থেকে নিরাময় দিতে পারে। এক্ষেত্রে ক্লারিটিন এলার্জি বা ড্রিক্সোরাল জাতীয় ঔষধগুলো প্রসিদ্ধ। তবে প্রয়োজনের বেশি এগুলো ব্যাবহার করা উচিত নয়। তাছাড়া কিছু মুখে খাওয়া ডিকনজেস্ট্যান্ট সেবনের মাধ্যমেও বন্ধ নাক বা মাথাধরা থেকে নিরাময় পাওয়া যায় তবে এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি ও বেশি থাকে।
তাছাড়া টাইলেনল, এডভিল, মটরিন আই বি জাতীয় এলার্জির ঔষধ ও এই রোগ থেকে সাময়িক সুস্থতা বা ব্যাথা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
এন্টিবায়োটিকের মধ্যে এমোক্সিসিলিন-ক্লাভুলানাটে, ফ্লুরোকুইনলোন জাতীয় ঔষধ প্রসিদ্ধ। ফ্লুরোকুইনলোন এর মধ্যে লেভোফ্লোক্সাসিন ও মোক্সিফ্লোক্সাসিন অন্যতম। তাছাড়া সেফালোস্পোরিন প্লাস ক্লিন্ডামাইসিন জাতীয় ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এই রোগের গুরতর অবস্তা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
বিঃদ্রঃ এখানে শুধুমাত্র ঔষধের ধরন ও উপাদানের নাম উল্লেখ্য করা হয়েছে। এই ররোগের মাত্রা, লক্ষন, ধরন, কারন ইত্যাদির উপর নির্ভর করে রোগীর জন্য কোন ঔষধ বেশি উপযোগী। তাই, অবশ্যই যেকোনো ঔষধ সেবনের পূর্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
সাইনুসাইটিস এর ঘরোয়া চিকিৎসা
১। বিশ্রামঃ
সকল রোগের মতোই এই রোগের ও প্রাথমিক চিকিৎসা হলো পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া। এতে করে শরীরে রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।
২। পেয়াজ, রসুন এবং আদাঃ
এই রোগের জন্য রসুন অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। প্রতিদিন ১/২ কোয়া রসুন খালি বা মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে তা আপনার শরীরে বিদ্যমান রোগের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং সংক্রমন থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাছাড়া, পেয়াজের রস বা আদা কুচি ও মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে সাইনাসের প্রদাহ থেকে সৃষ্ট মাথাব্যাথা থেকে রোগী মুক্তি পেতে পারে।
৩। গরম ভাপঃ
সাইনাসের প্রদায় বৃদ্ধি পেলে গরম পানি বা গরম ভাপ সেই অস্বস্তি বা প্রদায় অনেকাংশে কমিয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে রোগী কোনো কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে তা মুখে দিয়ে রাখতে পারে বা একটি পাত্রে গরম পানি রেখে তা থেকেও ভাপ নেয়া যেতে পারে।
সাইনুসাইটিস দূর করার উপায়
- সাইনুসাইটিস দূর করার মূলমন্ত্র-ই হলো সতর্কতা ও কতিপয় কাজ এড়িয়ে চলা। যেমন, ধুলাবালি বেশি এমন স্থান এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরিধান করা, তাছাড়া সিগারেট এর ধোঁয়া এবং পারফিউম বা রুম স্প্রে জাতীয় জিনিস থেকেও সাইনুসাইটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এসব পরিহার করা বা পরোক্ষভাবেও যাতে সমস্যা না হয় তাই মাস্ক পরিধান করা উত্তম।
- তাছাড়া, যেসকল স্থানে বাতাসে আদ্রতা বা জলীয়বাষ্পের পরিমান কম, বদ্ধ স্থান এর মতো জায়গা এড়িয়ে চলুন এবং যথেষ্ঠ আলো-বাতাস ও বাতাসে আদ্রতা স্বাভাবিক এমন স্থানে থাকুন।
- নাক পরিষ্কার রাখুন। এক্ষেত্রে গোসলের সময় পানি দিয়ে বা এর আগে পানিতে হালকা লবন মিশিয়ে একটি দ্রবন তৈরি করে তা দ্বারা ও নাক পরিষ্কার করা যেতে পারে।
- এলার্জির সমস্যা হতে পারে এমন খাবার ও উপাদান সেবন পরিহার করুন।
- যথাযথ পরিমানে পানি বা তরল খাবার পান করে নিজেকে ডিহাইড্রেটেড রাখুন।
- ঘুমানোর সময় বাড়তি বালিশ ব্যাবহার করুন যাতে মাথা হালকা উচুতে থাকে।
- পরিষ্কার তোয়ালে বা কোনো কাপড় হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে তা মুখের উপর রেখে দিন এবং চেষ্টা করুন এভাবেই কিছুক্ষন থাকতে ও শ্বাস নিতে।
- এবং সর্বশেষ, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যথাযথ চিকিৎসা গ্রহন করুন।
আরও পড়ুন : হেপাটাইটিস বি এর লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়
সাইনুসাইটিস এর ব্যায়াম
যোগব্যায়াম বা ইয়োগা হলো সাইনুসাইটির প্রতিরোধী অন্যতম একটি ব্যায়াম। এতে করে মস্তিষ্ক ও দেহ সম্পূর্ন বিশ্রামে থাকে ও শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রনে থাকে। এর মাধ্যমে নাসিকারন্ধ্রের সাইনাসের মধ্য দিয়ে যথাযথ বায়ু প্রবাহের ফলে সাইনাসের প্রদাহ কমে আসে। এক্ষেত্রে নাকের এক পাশ দিয়ে শ্বাস গ্রহন এবং অন্য পাশ দিয়ে নিশ্বাস বের করা বিশেষভাবে কার্যকরী।
তাছাড়া মাথা নিচু করতে হয়না এমন হালকা ব্যায়াম, হালকা হাটাহাটি বা সাইকেল চালানোর মতো ব্যায়াম আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস ক্ষমতা-কে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ধুলোবালি কম এবং পরিষ্কার যায়গায় ব্যায়াম করতে হবে।
Disclaimer :এ ওয়েবসাইটে দেওয়া সকল তথ্য শুধুমাত্র জানার জন্য। রোগীকে সরাসরি না দেখে এবং রোগীর পরীক্ষা না করে রোগ এবং রোগের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই নিজে নিজে কোনো ওষুধ খাবেন না। অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
References