ডেঙ্গু কী?
এডিস মশার কামড়ে সৃষ্ট রোগের নামই হলো ডেঙ্গু। এটি জ্বরের-ই একটি ধরন যা ডেঙ্গু জ্বর নামে প্রচলিত। এডিস মশার শুত্রকে বিদ্যমান Dengue ভাইরাস থেকে মানবদেহে এই রোগের সৃষ্টি হয়। ভাইরাস দেহে প্রবেশের পর ৩দিন থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে রোগের উপসর্গ গুলো প্রকাশ পায়। উপসর্গ গুলোর মধ্যে রয়েছে, জ্বর, মাথাব্যাথা, বমি, শরীরের জোড়ায় ও মাংসপেশিতে ব্যাথা, চামড়ায় ফুসকুড়ি ইত্যাদি।
ডেঙ্গু কত প্রকার?
এ জ্বরের জন্য দায়ী ভাইরাস DENV এর ধরনের উপর ভিত্তি করে এ জ্বরকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। তিনটি ধরন হলোঃ
- ডেঙ্গু জ্বর।
- ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর (DHF)।
- ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (DSS)।
ডেঙ্গু রোগের জীবাণু
ডেঙ্গু মশার থেকে সংক্রমিত একটি বিশ্বব্যাপি বিস্তৃত রোগের নাম। নারী এডিস মশার কামড়ের সাথে এই জীবাণু দেহে প্রবেশ করে। এটি ফ্লাভিভাইরাস পরিবারের একটি আরএনএ (RNA) গঠিত ভাইরাস। এই ভাইরাসের সংক্রমণ গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে বেশি লক্ষ্য করা যায়। এই ভাইরাসের সংক্রমণে দেহে বিভিন্ন রকমের সমস্যার প্রকাশ পায় যার সবগুলোকে একত্রে চিকিৎসার ভাষায় ডেঙ্গু জ্বর বলা হয়। এই ভাইরাসের চারটি ধরন রয়েছে। এই ভাইরাসের মূল নাম DENV ভাইরাস এবং এর ভ্যারিয়েন্ট গুলোকে DENV-1, DENV-2, DENV-3, এবং DENV-4 নামে চিহ্নিত করা হয়। এই ভাইরাস নারী এডিস মশার শুত্রকে জন্ম হয়, কামড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস মানব দেহে প্রবেশ করার পর দেহে বাসা বানায় এবং শক্তিশালী হতে থাকে। দেহে প্রবেশের পর এই প্রক্রিয়া শেষ হয়ে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে ৩দিন থেকে ১৫দিন পর্যন্ত সময় লাগে। এই সময় নির্ভর করে আক্রান্ত ব্যাক্তির শারীরিক অবস্থার উপর। এই ভাইরাসের চারটি ধরন হওয়ায় একজন ব্যাক্তি সর্বোচ্চ ৪বার এই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। কারন, এই চারটির থেকে যেকোনো একটি দ্বারা আক্রান্ত হবার পর সুস্থ হয়ে উঠলে ঐ ভাইরাসের বিরুদ্ধে নিজে থেকেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠে। প্রতি ৪টি সংক্রমণের মধ্যে ১টি সংক্রমণে ভাইরাসের আক্রমন লক্ষণীয় হয়। লক্ষণীয় রোগের মাত্রা হালকা থেকে মাঝারি হয়ে থাকে। এই রোগের স্থায়ীত্বকাল অনির্দিষ্ট এবং লক্ষণ হিসেবে তীব্র জ্বরের মতো অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়। তবে, প্রতি ২০ জন রোগীর মধ্যে ১জনের মধ্যে ডেঙ্গুর গুরুতর ধরন দেখা যায় যা সাধারন ডেঙ্গু জ্বরের থেকে সম্পুর্ন ভিন্ন। এই পর্যায়ে জীবন ঝুঁকি সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। এই রোগ উপসর্গহীন বা লক্ষণ ছাড়া হয়ে থাকে বিধায় প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না। এই ভাইরাসের দ্বারা ২য় বার আক্রান্ত হওয়া এই গুরুতর ডেঙ্গু হওয়ার অন্যতম একটি কারন। এক্ষেত্রে রোগে সংক্রমণের দেখা দিলে অতিসত্ত্বর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। সঠিক সময়ে থেরাপি ও চিকিৎসা নিলে মৃত্যুঝুকি ০.৫শতাংশ কমে যেতে পারে। এই রোগের কিছু লক্ষণ হলো, শ্বাসকষ্ট এবং গলায় তরল জমা, রক্তক্ষরণ, প্লাজমা লিকেজ ইত্যাদি। এক্ষেত্রে, অঙ্গহানি বাঁ শরীরের কোনো অঙ্গ প্যারালাইসিস হওয়ার মতো সমস্যা ও দেখা যায়।
ডেঙ্গু জ্বরের সময়কাল
আমাদের দেশের জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রতিবছর এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়। কারন, এই সময়ে, মূলত জুলাই মাসে থেকেই বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে এডিস মসার ডিম ও লার্ভা থেকে নতুন মসার জন্ম হয়। আর মশা রক্ত খায় না। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য মেয়ে মশা আমাদের শরীর থেকে রক্ত চুসে নেয়। তাই এই সময়ে এ জ্বরের প্রকোপ বেশি শুরু হয়। এ রোগের জীবাণু দেহে প্রবেশের ৩দিন থেকে ২সপ্তাহের মধ্যেই লক্ষণ দেখা দেয়। রোগ প্রকাশের দুই থেকে সাতদিনের মধ্যেই সঠিক চিকিৎসা নিলে রোগমুক্তি মিলে। তবে, রোগের মাত্রা বেড়ে গিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি জীবনক্ষয়ী রূপ নিতে পারে। এমন ধরন গুলো হলো, ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম এবং ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার।
আরও পড়ুন : পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ বা উপসর্গ
জীবাণু প্রবেশের পর ৩-১৫দিনের মধ্যেই জ্বরের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়। তবে হালকা সংক্রমণের ক্ষেত্রে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মাঝে সবসময় লক্ষণ গুলি প্রকাশ পায়না। কারন, কোনো ব্যাক্তি যখন প্রথম বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় তখন তার মাত্রা হালকা ই থাকে যার সম্ভাবনা শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে বেশি থাকে। তবে এই রোগের দ্বারা ২য় বা ৩য় বার আক্রান্ত হলে তা আক্রান্ত ব্যাক্তির জীবনকে ঝুকিতে ফেলে দিতে পারে। তাছাড়া, এই ধাপ গুলোর রোগ প্রকাশের লক্ষণ ও আলাদা আলাদা।
প্রথমবার আক্রান্ত হলে সাধারন লক্ষণ
- প্রচন্ড মাথাব্যাথা।
- ১০১-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর।
- সারাক্ষন বমি বমি ভাব থাকা ও বমি হওয়া।
- শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয়া।
- গ্রন্থি ফুলে যায়।
- নাক বাঁ মাড়ি থেকে হালকা রক্তপাত।
- ক্লান্তি।
- উজ্জ্বল বাঁ হালকা আলোতে চোখের মণি ব্যাথা করা।
আরও পড়ুন : ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর চিকিৎসা
প্রাপ্তবয়ষ্কদের মধ্যে লক্ষণ
- মাত্রাতিরিক্ত জ্বর দেখা দেয়।
- বমি ও মল-মূত্র ত্যাগের সময় রক্তক্ষরণ হওয়া।
- যকৃতের আকার বৃদ্ধি।
- পেটে প্রচন্ড ব্যাথা।
- লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমের ক্ষতি।
- শক সিন্ড্রোমের কারনে চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া।
- নাক ও মাড়ি থেকে রক্তপাত।
- রক্তনালী থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া।
- সংবহনতন্ত্রের ব্যার্থতা।
- আচরনে অস্থিরতা দেখা দেয়।
- মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
- শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
এই লক্ষণ গুলো ধীরে ধীরে রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটায়। একসময় প্রচুর রক্তক্ষরণ, শক এমনকি মৃত্যু হতে পারে।
ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা
এই রোগের চিকিৎসার জন্য কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ঔষুধ বা অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নেই। তবে সঠিক সময়ে শরীরে প্রকাশ পাওয়া লক্ষণ ও রোগগুলোর জন্য সহায়ক চিকিৎসা নেয়া উচিত। কারন, এই জীবাণু শরীরে প্রবেশের পর শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যার যার ফলস্বরূপ আমাদের দেহে এই রোগ গুলো দেখা দেয়। এই সময়ে শরীর ও দুর্বল হয়ে যায়। এজন্যই তখন আমাদের দেহের জন্য এই সহায়ক চিকিৎসা প্রয়োজনীয় হয়ে উঠে। এ জ্বরের অন্যতম সমস্যা হলো শরীরে ব্যাথা হওয়া। এই ব্যাথার মাত্রা অনেক বেশি থাকে যা শরীরকে আরো খারাপ করে তোলে। তাছাড়া, এই অতিমাত্রার ব্যাথা থেকে জ্বর ও বাড়তে পারে। এজন্য চিকিৎসকরা শুরুতে অ্যাসিটামিনোফেন জাতীয় কোনো ব্যাথার ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করে থাকেন। এক্ষেত্রে, রোগির যদি রক্তপাতের সমস্যা থাকে তবে অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ প্রদান করা যাবেনা। এতে করে রক্তপাত বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। রোগীর জ্বর এর ধরন যদি, ডেঙ্গু হেমোরজিক হয় তবে অতিসত্ত্বর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। এর পর রক্ত পরীক্ষা, রক্তচাপের পর্যবেক্ষণ, শিরার তরল ও রক্তের প্লাটিলেটের মাত্রা চেক করা সহ চিকিৎসকের পরামর্শ দেয়া সব গুলো পরীক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসক রোগীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে, CT, MRI এর মতো বিভিন্ন টেস্ট করাতে বলতে পারেন। রোগের এই পর্যায়ে হাসপাতালে কয়েকদিন থেকে সুস্থতা অর্জন করার পরই বাড়ীতে যাওয়া উত্তম।
ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
এ জ্বরের মাত্রা কম হলে, মূলত প্রথমবারের আক্রমণে রোগীর অবস্থা তেমন গুরুতর হয়না। সেক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসক রোগী-কে ঘরেই চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ঔষধের পাশাপাশি ঘরে বিশ্রাম নেয়ার পাশাপাশি কিছু নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার মাধ্যমে রোগী সুস্থতা অর্জন করতে পারেন। এ জ্বর হলে কী কী খাবেন তা উপরে উল্লেখ্য করা হয়েছে। তাছাড়া, কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করা, রোগীর হাত পা ভেজা তোয়ালে বা গামছা দিয়ে মুছে দিতে হবে। এতে করে রোগী ফ্রেস মনে করবে নিজেকে।
ডেঙ্গু ও সাধারণ জ্বরের মধ্যে পার্থক্য
আমাদের দেহে সৃষ্ট বেশিরভাগ রোগের প্রথম উপসর্গ ই হয়ে থাকে জ্বর। এর একটি কারন রয়েছে, আমাদের দেহে কোনো জীবাণু প্রবেশ করলে দেহের রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলো ঐ জীবাণুর বিরুদ্ধে। এতে করে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তবে ডেঙ্গুর মতো গুরুতর রোগের উপসর্গ ও কিন্তু জ্বর। এক্ষেত্রে প্রতিবার জ্বর উঠলেই ডেঙ্গু ভেবে ভয় পেয়ে হাসপাতালে যাওয়া যেমন ভোগান্তিকর, তেমনি ডেঙ্গু জ্বর-কে সাধারন জ্বর ভেবে উপেক্ষা করলে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়তে হবে। তাই সাধারন জ্বর ও ডেঙ্গু জ্বরের মধ্যে আমাদের সকলের-ই ধারনা রাখা উচিত।
ক্রমিক নং | সাধারন জ্বর/ভাইরাল জ্বর | ডেঙ্গু জ্বর |
১. | এই জ্বর ৩-৫ দিন স্থায়ী হয়। | এই জ্বর ২-৭ দিন স্থায়ী হয়। |
২. | এই জ্বর এক ব্যাক্তি থেকে অন্য ব্যাক্তিতে সংক্রমিত হতে পারে। | এই জ্বর ছোঁয়াচে বা বায়ুবাহিত নয়। শুধুমাত্র এডিস ইজিপ্ট মশার কামড় থেকেই এই জ্বর ছড়ায়। |
৩. | এই জ্বরে আক্রান্ত রোগী সর্দি, গলাব্যাথা, দূর্বলতা ও শরীরে হালকা ব্যাথার মতো সমস্যায় ভুগেন। | এই জ্বরে আক্রান্ত ব্যাক্তি ১-২দিন এর মধ্যে শরীরের জয়েন্ট গুলোতে প্রচন্ড ব্যাথা, মাত্রাতিরিক্ত জ্বর, শরীরে তীব্র ব্যাথা, চোখ ব্যাথা করা সহ শরীরে ফুসকুড়ি হওয়ার মতো সমস্যায় ভুগেন। |
৪. | এই জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা প্লাটিলেট সম্পর্কিত কোনো সমস্যায় ভুগেন না। | এই রোগে আক্রান্ত রোগীর রক্তের প্লাটিলেট সংখ্যা কমে যায়। |
৫. | সাধারন জ্বর আমাদের শ্বাসতন্ত্রে প্রভাব ফেলে যা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যার সৃষ্টি করে। | এ জ্বরে এমন কোনো উপসর্গ দেখা যায়না। |
ডেঙ্গু টেস্ট
জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে অথবা লক্ষণ দেখে ডেঙ্গু সন্দেহ হলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কারন অনেক সময় ডেঙ্গু না হলেও চিকিৎসকের পরামর্শকৃত পরীক্ষা-নীরিক্ষা গুলো করে অন্য রোগের চিহ্ন ও খুজে পাওয়া যায়। এ জ্বর নির্ণয়ের জন্য রোগীর দেহের এন্টিজেন বা এন্টিবডি নির্ণয় অন্যতম একটি পন্থা। যদিও এর থেকে দেহের নিউক্লিয় এসিড শনাক্তকরন আরো বেশি নির্ভুল এবং নির্ভরযোগ্য পন্থা। তবে এই পদ্ধতি অনেক ব্যায়বহুল হওয়ায় এটি সবার জন্য এবং সব যায়গায় সম্ভব হয়না। যদিও প্রথম ৭দিনে প্রায় সব টেষ্ট-ই নেগেটিভ আসে, তবে প্রাথমিক অবস্থায় এন্টিজেন নির্ণয় বেশিরভাগ সময়ে নির্ভুল হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিশেষঙ্গ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করা উচিত। চিকিৎসক রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও বিবেচনা করে যেই পরীক্ষা করার পরামর্শ দিবেন তা ই করা উচিত। তাছাড়া, বিভিন্ন ধরনের ব্লাড টেস্ট যেমন, Complete Blood Test(CBC), SGPT, SGOT ইত্যাদি।
আরও পড়ুন : সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠুন যক্ষা থেকে – কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা
ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন আর কী খাবেন না
এ জ্বর হলে আমাদের দেহের প্লাটিলেট কমে যাওয়া, খনিজ উপাদান কমে যাওয়া, ডিহাইড্রেশন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এসময়ে, যথাযথ ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন
- দুধ ও হলুদঃ এ জ্বর হলে প্রতিদিন ১গ্লাস দুধের সাথে এক চিমটি হলুদ মিশ্রিত করে খেলে এটি দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।
- ডালিমঃ এ জ্বরে শরীর দূর্বল হয়ে পরে ও রক্তের প্লাটিলেট কমে যায়। ডালিম ফল বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ও খনিজ ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি ফল। এই উপাদান গুলো রক্তের আয়রন ও প্লাটিলেট সংখ্যা ঠিক রাখার পাশাপাশি শরীরের ক্লান্তিভাব কমায়।
- ডাবঃ এ জ্বরে শরীরে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ডাবের পানি অন্যতম একটি সমাধান।
- পেঁপে পাতাঃ পেঁপে পাতায় প্রচুর পরিমানে পাপাইন ও কাইমোপাপেন জাতীয় এনজাইম রয়েছে যা হজম ও প্লাটিলেট সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে দুটি পেঁপে পাতা বেটে এর রস এক চামচ করে প্রতিদিন দুইবার খেতে হবে।
- কমলাঃ আমরা সকলেই জানি যে কমলা ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ। তবে এতে এন্টি এক্সিডেন্ট নামক একটি উপাদানও থাকে যা এ জ্বরের বিরুদ্ধে দেহে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
- পালং শাকঃ পালং শাকে প্রচুর পরিমানে আয়রন ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
- ব্রকলিঃ ব্রকলি-তে ভিটামিন-কে রয়েছে। যা প্লাটিলেট বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ও রক্তপাতের ঝুঁকি কমায়।
ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন না
- তেল-মশলাঃ এ জ্বর হলে তৈলাক্ত ও বেশি মশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এর বদলি হালকা তেল মশলায় প্রস্তুত কম ভাজা খাবার খেতে হবে।
- ক্যাফেইন যুক্ত পানীয়ঃ ক্যাফেইন শরীরে ক্লান্তিভাব ও পেশীর ভাঙ্গন সৃষ্টি সহ হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। এ জ্বরে অলরেডি রোগী দূর্বলতা ও পেশিতে ব্যাথার মতো সমস্যায় ভুগেন, তাই এসময়ে এই পানীয় না পান করাই হবে উত্তম।
ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট কমে গেলে করণীয়
প্লাটিলেট কমে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শকৃত ঔষধের পাশাপাশি নির্দিষ্ট পুষ্টিগুন সম্পন্ন কিছু খাবার ও গ্রহণ করতে হবে। এগুলো হলোঃ
- ব্রকলি
- পালংশাক
- অ্যালোভেরা
- আমলকি
- কমলা
- মিষ্টি কুমড়া
- ডালিম
- পেঁপে পাতা
ডেঙ্গু হলে করণীয়
এ জ্বর হলে অতিসত্ত্বর ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। তবে এ জ্বরের প্রথম আক্রমনে খুব একটা সমস্যা হয়না। এক্ষেত্রে, আপনার যদি এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকে এবং আপনার পরিচিত কোনো ডাক্তার থাকে যার থেকে আপনি ভার্চুয়ালি পরামর্শ নিতে পারবেন, তবে ঘরে থেকেই সুস্থতা লাভ করা যায়। এক্ষেত্রে, ঘরে থেকেও সুস্থতা লাভ করতে করনীয় হলোঃ
- রোগীকে সম্পূর্নরূপে বিশ্রামে থাকতে হবে।
- নিজেকে ডিহাইড্রেটেড রাখার জন্য প্রচুর পরিমানে তরল খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। ডাবের পানি, ফলের জুস, স্যালাইন, স্যুপ ইত্যাদি এক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে।
- এই জ্বরের জন্য রোগী তার বয়স সীমার উপর ভিত্তি করে প্রতিদিন প্যারাসিটামল ঔষুধ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে, রোগীর যদি ফুসফুস, হৃদপিন্ড ও যকৃতের সমস্যা থেকে থাকে তবে ঔষধ গ্রহণের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেয়া উচিত।
- শরীরের ব্যাথার জন্য অ্যাসপিরিন, ক্লোফেনাক, আইবুপ্রোফেন প্রকৃতির ঔষধ গ্রহণ করা যাবেনা। এতে করে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি হতে পারে। আর যদি রক্তক্ষরণ আগেই থেকে থাকে তা বেড়ে যাবে। তবে রক্তক্ষরণ শুরু হলে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে যাওয়া উচিত।
- জ্বর কমে গেলে রোগীর ভালো বোধ করা উচিত। এমনটা না হলেও হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
ডেঙ্গু হলে কী কী করবেন না
- অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করবেন। নিজে থেকে কিছু করতে যাবেননা।
- জ্বরে শরীরের পেশিসমূহে মাত্রাতিরিক্ত ব্যাথা দেখা দেয়। তবে এসময়ে অ্যাসপিরিন, ক্লোফেনাক, আইবুপ্রোফেন প্রকৃতির ঔষধ গ্রহণ করা যাবেনা। এতে করে রক্তক্ষরণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- মশলা, তেল ও অতিরিক্ত ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
- এ জ্বরে আক্রান্ত রোগীর দেহ প্রচুর দূর্বল থাকে। তাই এই সময়ে ক্যাফেইন আছে এমন পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। ক্যাফেইন শরীরে ক্লান্তি ভাব আনে যা রোগীর জন্য আরো ক্ষতিকর।
- প্লাটিলেটের মাত্রা নিয়ে টেনশন করেও অনেকে নিজেকে দূর্বল করে তোলে। এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কিছুই নেই। যথেষ্ট পরিমানে বিশ্রাম নিন।
শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
লক্ষণ
শিশুদের দেহ একজন পূর্নবয়ষ্ক মানুষের মতো সবল না হওয়ায় ডেঙ্গু তাদের জন্য মারাত্মক একটি সমস্যা। শিশুরা তাদের কম বয়সের কারনে বেশিরভাগ সময়েই তাদের জন্য ডেঙ্গু আক্রমন প্রথমবারের মতো হয়ে থাকে। যা এ জ্বরের প্রথম বা হালকা পর্যায়। এই সময়ে শিশুদের মাঝে প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু কমন লক্ষণ যেমন, মাত্রাতিরিক্ত জ্বর, বমি ও শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
তবে এগুলো ছাড়াও শিশুদের মাঝে আরো কিছু সমস্যা দেখা দেয় যেমন, প্লাজমা লিকেজ হয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশের জমে থাকা, পেট ফুলে যাওয়া, রক্তক্ষরণ এমনকি শক সিন্ড্রোম ও দেখা দেয়। শক সিন্ড্রোম মূলৎ ডেঙ্গুর ২য় পর্যায়ের সমস্যা, তবে এটি শিশুদের ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়েই দেখা যেতে পারে।
তাছাড়া, পানিশূন্যতা, পাতলা পায়খানা, শরীরে লালচে ফুসকুড়ি, ৬-৮ঘন্টায় ও প্রস্রাব না করা, ক্ষুধামন্দা, শরীর নিস্তেজ হয়ে থাকা ও শিশুদের এ জ্বরের অন্যতম কিছু কারন।
প্রতিকার
ডেঙ্গু হলেই যে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে এমনটা ঠিক নয়। আবার, একইভাবে, প্রাথমিক ডেঙ্গু বলে যে নিজে নিজেই শিশুকে সুস্থ করে তুলতে পারবেন এটা ভাবাও ঠিক নয়। জ্বর সন্দেহ হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন এবং শিশুর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসক যেই চিকিৎসা নিতে বলে তা গ্রহণ করুন। তাছাড়া,
- জ্বর থাকলে শরীর বারবার স্পঞ্জ দিয়ে মুছে দিয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।
- শরীর-কে হাইড্রেটেড রাখার জন্য মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি বেশি বেশি তরল খাবার যেমন স্যালাইন, স্যুপ, ফলের রস, ডাবের পানি ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।
- রোগের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসক প্যারাসিটামল বা এন্টিবায়োটিক ঔষুধ দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন।
এছাড়া রোগের মাত্রা গুরুতর পর্যায়ে গেলে আইসিইউ(ICU) তে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়
- বর্ষার পুর্বেই বৃষ্টির পানি জমতে থাকে এমন বস্তু বাড়ির আশেপাশে বা ছাদে থাকলে তা সরিয়ে ফেলুন।
- বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। ঝোপঝাড় মশার অন্যতম বাসস্থান।
- মশা নিধনের জন্য ২দিন অন্তর অন্তর ফগিং করুন।
- বাইরে বের হওয়ার সময় শরীরে এন্টি-মসকীটো ক্রীম ব্যাবহার করতে পারেন।
- ঘরের জানালায় নেট ব্যাবহার করতে পারেন।
- এডিস মশা রাতে নয় বরং দিনে বেশি কামড়ায়। তাই, দিনে অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমাবেন।
- দিনে মশা বেশি কামড়ালেও রাতে যে একেবারেই কামরাতে পারে না এমনটা কিন্তু নয়। তাই সবসময় স্প্রে ও মশারি ব্যাবহার করুন।
- বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় ফুলের টবে বা অন্য কোনো পাত্রে পানি জমে থাকলে তা ফেলে দিন। কারন, এতে মশা ডিম পারার সম্ভাবনা থাকে।
ডেঙ্গু মশা চেনার উপায়
- এটি আকারে ছোট এবং গাড় কালো রঙের মশা।
- যেহেতু এই মশা নিজে ডেঙ্গু জ্বরের DENV জীবাণু বহন করে, তাই এরা বেশি উচ্চতায় উড়তে পারে না।
- গরমের শেষে ও বর্ষায় এই মশা বেশি দেখা যায়।
- এ মশার কামড়ে ক্ষতস্থান অন্য সাধারন মশার কামড়ের তুলনায় বেশি ফুলে যায় ও লাল হয়ে যায়।
ডেঙ্গু সচেতনতা
ডেঙ্গু জ্বর হওয়া থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে এই জ্বর এবং এডিস মশা সম্পর্কে সচেতন হওয়া থেকে বড় কিছু নেই। এক্ষেত্রে যেসব পদক্ষেপ নিতে পারেন,
- এডিস মশা ভোরে ও সন্ধ্যায় বেশি সক্রিয় থাকে তাই ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রাখুন, প্রয়োজনে জানালায় নেট লাগানোর ব্যাবস্থা নিতে পারেন।
- ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যাবহার করুন।
- বাইরে বের হলে পরিপূর্ন পোষাক পড়ে ত্বক-কে যতটা সম্ভব ঢেকে রাখুন। তাছাড়া, সুতি বা লিনেন কাপড় পড়ার চেষ্টা করুন। কাপড় ভারী হওয়ায় মশা কামড়ানোড় ঝুঁকি কমে যায়।
- মশা নিরোধক ক্রীম বা স্প্রে ব্যাবহার করুন।
- এডিস মশা কৃত্রিম ভাবে জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে ও বসবাসের জন্য ঝোপঝাড় ব্যাবহার করে থাকে। বাসার ছাদ, বারান্দা বা ঘরের আসে পাশে এমন কোনো জায়গা থাকলে তা পরিষ্কার করে ফেলুন।
Frequently Asked Questions (FAQs)
প্রশ্ন: ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ?
উত্তর: না, এ জ্বর ছোঁয়াচে নয়। এটি শুধুমাত্র ফিমেইল এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়।
প্রশ্ন: ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে?
উত্তর: এ জ্বর ২-৭দিন স্থায়ী হয়।
প্রশ্ন: ডেঙ্গু মশার ছবি
উত্তর:

প্রশ্ন: ডেঙ্গু কোন ভাষার শব্দ?
উত্তর: এই শব্দের উৎস সঠিক ভাবে কারোর জানা নেই তবে গবেষনা অনুযায়ী এই শব্দের উৎস হিসেবে স্পেনিশ ভাষাকে ধরা হয়।
প্রশ্ন: ডেঙ্গু টেস্ট কি কি?
উত্তর: প্লাটিলেট টেষ্ট, এন্টিবডি ও এন্টিজেন নির্ণয়, নিউক্লিয় এসিডের মাত্রা নির্ণয় ইত্যাদি টেস্টের মাধ্যমে ডেঙ্গু নির্ণয় করা হয়।
প্রশ্ন: ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে?
উত্তর: হ্যাঁ, করা যাবে। তবে পানি যাতে বেশি ঠান্ডা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করা উত্তম।
প্রশ্ন: ডেঙ্গু মশা কি রাতে কামড়ায়?
উত্তর: এমন ঘটনা একেবারে রেয়ার হলেও মাঝে মাঝে রাতে কামড়ানোর মতো ঘটনা ও ঘটে।
প্রশ্ন: ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কতদিন বা কত সময় পর জ্বর হয়?
উত্তর: মশার কামড়ের ২৪-৪৮ঘন্টা বা ২দিনের মধ্যেই জ্বরের লক্ষণগুলো দেখা যায়।
প্রশ্ন: এডিস মশা কামড়ালে কি ডেঙ্গু হয়?
উত্তর: প্রতিটি এডিস মশার কামড়েই ডেঙ্গু হতে পারে আবার না ও হতে পারে। মূলত এডিস ইজিপ্টাই মশার কামড়ে এ জ্বর ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে।
প্রশ্ন: ডেঙ্গু মশা কামড়ালে কি ফুলে যায়
উত্তর: হ্যাঁ, এই মশার কামড়ে কামকড়ের যায়গা অন্য মশার কামড়ের তুলনায় বেশি ফুলে যায় ও লাল হয়ে থাকে।
প্রশ্ন: ডেঙ্গু মশা কখন কামড়ায়?
উত্তর: ডেঙ্গু মশা সন্ধ্যা, ভোর এবং দিনে বেশি কামড়ায়। তাই বলে যে রাতে এরা একেবারেই কামড়াতে পারে না তা ঠিক নয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দিনে কামড়ায়।
প্রশ্ন: ডেঙ্গু হলেই কি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়?
উত্তর: এটা নির্ভর করে রোগের মাত্রা ও রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর। তবে জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ও সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
প্রশ্ন: ডেঙ্গু কতটা গুরুতর?
উত্তর: এ জ্বরের প্রথম আক্রমণ খুব একটা গুরুতর হয়না। সঠিক নিয়ম মেনে চিকিৎসা ও বিশ্রাম নিলে তা ভালো হয়ে যায়। তবে ২য় বা ৩য় আক্রমণ হলে তা প্রাণঘাতী হতে পারে।
প্রশ্ন: ডেঙ্গু কি প্রাণঘাতী?
উত্তর: হ্যাঁ, জ্বরের মাত্রা বেড়ে গেলে এই রোগ প্রাণঘাতী হতে পারে।
প্রশ্ন: ডেঙ্গু কি নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়?
উত্তর: না।
প্রশ্ন: ডেঙ্গুর জন্য সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা কোনটি?
উত্তর: এমন নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। এই জ্বরে যেহেতু শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, শরীর দূর্বল হয়ে যায়, সেহেতু সঠিকভাবে নিয়ম মেনে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। বিশ্রামের বিকল্প নেই।
প্রশ্ন: ডেঙ্গু রোগীর জন্য কোন ফল খাওয়া ভালো?
উত্তর: ডালিম, পেপে, কমলা, ডাব, ইত্যাদি।
প্রশ্ন: কাদের ডেঙ্গু সবচেয়ে বেশি হয়?
উত্তর: শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম ও ভিটামিন-ডি কম আছে এমন মানুষ ডেঙ্গুতে বেশি ভুগতে হয়। তবে সব বয়সের মানুষের ই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সমান থাকে।
প্রশ্ন: ডেঙ্গু রেশ (rash) এর ছবি
উত্তর:

Disclaimer : এ ওয়েবসাইটে দেওয়া সকল তথ্য শুধুমাত্র জানার জন্য। রোগীকে সরাসরি না দেখে এবং রোগীর পরীক্ষা না করে রোগ এবং রোগের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই নিজে নিজে কোনো ওষুধ খাবেন না। অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
Reference:
- ডেঙ্গু জ্বর – উইকিপিডিয়া
- Dengue | CDC
- Dengue and severe dengue – World Health Organization (WHO)
- Dengue Fever: Symptoms, Causes, and Treatments – WebMD