Skip to content

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা এবং নিষিদ্ধ খাবারের তালিকা

diet-for-diabetes-patient-bangla ডায়াবেটিস-রোগীর-খাবার-তালিকা-এবং-নিষিদ্ধ-খাবারের-তালিকা

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা

ডায়াবেটিস কমিয়ে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে একটি উপযুক্ত ডায়েট প্লানের কোনো বিকল্প নেই। ডায়াবেটিস রোগীদের সতর্কতার সাথে খাবার গ্রহণ করতে হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী কিছু খাবারের তালিকা নিচে দেয়া হলো। তারপরেও এসকল খাবার গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

১। সবুজ শাকসবজি : সবুজ শাকসবজি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ লবণ ও ফাইবার থাকে যা সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরী। সবুজ শাকসবজি হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখে এবং শরীরকে বিভিন্ন হার্টের রোগ, স্ট্রোক ও ক্যান্সার থেকে মুক্ত রাখে। উল্লেখযোগ্য কিছু শাকসবজি হলো : ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকোলি, পালং শাক, কলমি শাক, সিম ইত্যাদি।

২। ফলমূল : ডায়াবেটিস মানেই আপনি ফল খেতে পারবেন না বিষয়টি এমন নয়। ফলে ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার রয়েছে। তবে ফলের জুস খাবেন না কারন এতে ফাইবার নেই। উল্লেখযোগ্য কিছু ফল হলো : তরমুজ, স্ট্রবেরী ইত্যাদি।

৩। স্টার্চ সমৃদ্ধ খাবার : স্টার্চ সমৃদ্ধ বিভিন্ন খাবার হলো আলু, ভাত, পাস্তা, রুটি ইত্যাদি। এসকল স্টার্চ সমৃদ্ধ খাবার শরীরে শক্তি সরবরাহ করে।

৪। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার : আমাদের শরীর সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য প্রোটিনের কোনো বিকল্প নেই। এটি একটি অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য উপাদান। ডায়াবেটিস রোগীরা মাছ, মাংস, ডিম জাতীয় প্রাণিজ প্রোটিন ছাড়াও বাদাম, সিমের বিচি, ডাল জাতীয় উদ্ভিজ্জ প্রোটিনও গ্রহণ করতে পারেন। গরু, মহিষ, ছাগলের মাংস কম খাওয়াই ভালো। এদের বদলে মাছ খাওয়া ভালো।

৫। দুগ্ধজাতীয় খাবার : দুধ, পনির, দই ইত্যাদিতে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন রয়েছে যা শরীরের হাড়, দাঁত এবং পেশীর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ডায়াবেটিস রোগে এসব খাবার খেতে কোনো সমস্যা নেই।

৬। এভোক্যাডো : এটি একটি অত্যন্ত সুস্বাদু ফল এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। এতে চিনি ও কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ অনেক কম এবং ফাইবার ও ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি থাকায় এ ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় না। ধারণা করা হয় এভোক্যাডোতে ডায়াবেটিস কমানোর উপাদান রয়েছে যদিও এর জন্য আরও প্রচুর গবেষণা দরকার।

৭। ডিম : একজন মানুষের দৈনিক ডিম খাওয়া তার হার্টের বিভিন্ন রোগ কমাতে সাহায্য করে। ডিমে প্রচুর প্রোটিন ও ভালো কোলেস্টেরল (HDL) রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। দৈনিক সকালের নাস্তায় প্রত্যেকের একটি করে ডিম খাওয়া উচিত।

৮। চিয়া বীজ : চিয়া বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি খাবার। এতে উচ্চমাত্রায় ফাইবার ও কম কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায় না। তাছাড়া চিয়া বীজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।

৯। মটরশুঁটি : বাংলাদেশে মটরশুঁটি অত্যন্ত সহজলভ্য এবং এটি অনেক স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এতে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল (ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম) ও ফাইবার রয়েছে। মটরশুঁটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।

১০। টক দই : টক দই শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং এতে প্রচুর উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাছাড়া টক দই হজম জটিলতা থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।

১১। বাদাম : বাদাম অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি খাবার। বাদামে অধিক ফাইবার এবং কমমাত্রায় কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের হার্টের বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বাদাম উপকারী।

১২। ব্রকোলি : ব্রকোলি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি। গবেষণায় দেখা গেছে যে আধা কাপ সিদ্ধ ব্রকোলিতে ২৭ ক্যালোরি, ৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন সি ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। ব্রোকোলি ব্লাড সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। ব্রকোলি একটি কম ক্যালোরি এবং কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার যাতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

১৩। ভিনেগার : ভিনেগারের বিভিন্ন উপকারী দিক রয়েছে। একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও ভিনেগার উপকারী।

১৪। স্ট্রবেরী : স্ট্রবেরীতে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল রয়েছে যা একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যন্ত উপকারী।

১৫। রসুন : রসুনের একটি কোয়ায় ৪ ক্যালরি, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, ফাইবার রয়েছে যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

আরও পড়ুন : জন্ডিস এর লক্ষণ ও জন্ডিস হলে করনীয় কী?

ডায়াবেটিস রোগীরা কী কী খাবার খাবেন না

  • পরিশোধিত দানাদার খাবার যেমন: পরিশোধিত আটা, চাল ইত্যাদি
  • চিনি মিশ্রিত সকল কোমলপানীয়
  • ভাজা পোড়া খাবার
  • এলকোহল
  • চকলেট ক্যান্ডি
  • প্রসেস করা মাংস যেমন : বেকন, হট ডগ ইত্যাদি
  • ফলের জুস
  • মুড়ি
  • মিষ্টি কুমড়া
  • আনারস
  • অধিক কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার
  • চিনি
  • চিনি মিশ্রিত যে কোন পানীয় বা খাবার
  • লবণাক্ত খাবার

Disclaimer :এ ওয়েবসাইটে দেওয়া সকল তথ্য শুধুমাত্র জানার জন্য। রোগীকে সরাসরি না দেখে এবং রোগীর পরীক্ষা না করে রোগ এবং রোগের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই নিজে নিজে কোনো ওষুধ খাবেন না। অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

 

আরও পড়ুন : সিফিলিস থেকে মুক্তির উপায় – লক্ষণ ও চিকিৎসা