Skip to content

ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর চিকিৎসা

বর্তমান সময়ের অন্যতম একটি রোগ হলো ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ শীথিলতা। ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর চিকিৎসা রয়েছে। লজ্জা ও বিভিন্ন কারনে আমরা অনেক রোগ নিয়েই গোপনে ভূগি এবং চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে চাইনা। ইরেকটাইল ডিসফাংশন মানব দেহের এমনই একটি গোপন এবং মারাত্মক রোগ।

Table of Contents

ইরেকটাইল ডিসফাংশন / লিঙ্গ শিথীলতা / পুরুষত্বহীনতা কি?

মূলত, যৌন সঙ্গমের সময় পুরুষাঙ্গের ইরেক্টিভ অবস্থা বজায় না থাকা বা ইরেকশন অবস্থায় না পৌছাতে পারা কেই ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (Erectile Dysfunction) বলে। এই সমস্যা খুব দুর্লভ হলে কোনো চিন্তার কারন কেই। কিন্তু তা যদি নিত্যদিনের সমস্যায় রূপান্তরিত হয় তবে তা আর স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকে না এবং অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া উচিত।

ইরেকটাইল ডিসফাংশন কেন হয়?

এটি একটি নার্ভ জনিত বা নিউরোভাস্কুলার সমস্যা। পুরুষাঙ্গে কোনো প্রকার হাড় থাকে না। এর শক্ত হওয়া বা নরম থাকা পুরোটাই নির্ভির করে রক্তপ্রবাহ এবং এর প্রেশার এর উপর। অপর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহ-ই এই সমস্যার মূল কারন। অন্য সকল রোগের মতোই, এটিও একমাত্র মানুষের কিছু বদ অভ্যাসের ই ফলাফল। এই কারন গুলো হলোঃ-

১। জাঙ্ক ফুড

এই অভ্যাস গুলোর মধ্যে অন্যতম বদ অভ্যাস হচ্ছে, অতিরিক্ত মাত্রায় জাঙ্ক ফুড খাওয়া। যা বর্তমানে আমাদের মধ্যে একটি সাধারন অভ্যাস। অতিরিক্ট পরিমানে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে আমাদের দেহে অতিরিক্ত পরিমানে ক্যালোরি এবং চর্বি জাতীয় পদার্থ জমা হয় এবং যথাযথ শারীরিক চর্চা না করার ফলে এসব দেহে জমতে জমতে স্থুলতা এবং মেদ সৃষ্টি করে। মেদ লিঙ্গ শিথীলতার অন্যতম একটি কারন।

২। মদ বা অ্যালকোহল

তাছাড়া, অতিরিক্ত মদ্যপান ও একটি অন্যতম কারন। অ্যালকোহল পুরুষাঙ্গের স্নায়ু গুলোর সক্রিয়তা কমিয়ে লিঙ্গকে শিথীল করে দেয়।

৩। মানসিক চাপ

বিষণ্ণতা, দুশচিন্তা সহ যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ থেকেও এই সমস্যা হতে পারে। মানসিক চাপের ফলে মানুষ সবদিক দিয়ে ভেঙ্গে পড়ে এবং যৌনক্রিয়ার সময় মনযোগ থাকে না।

৪। ধুমপান

আমাদের সম্পূর্ন দেহের রক্তচলাচল ই নির্ভর করে আমাদের হৃদপিন্ডের উপর। কিন্তু, এই অতীব জরুরী অঙ্গটির জন্য অন্যতম ক্ষতিকর কাজ হলো ধুমপান। ধুমপানের ফলে হার্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং শরীরে রক্তচলাচল কমে যায়। যার ফলাফল হিসেবে, যৌন ক্রিয়ার সময় অপর্যাপত রক্ত সঞ্চালন ও চাপের কারনে পুরুষাঙ্গ শক্ত হতে পারে না বা হলেও সেই অবস্থা বজায় রাখতে পারে না।

৫। হরমোন জনিত রোগ

হরমোনের সমস্যার কারনে হওয়া রোগ যেমন, হাইপোগোনাডিজম এবং হাইপোথাইরয়েডিজম ইত্যাদি ধরনের রোগ থেকেও এই সমস্যা হতে পারে।

৬। অন্যান্য

উক্ত সমস্যা গুলো ছাড়াও ডায়বেটিস, অপর্যাপ্ত ঘুম, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস না থাকা, উচ্চ রক্তচাপ সহ বিভিন্ন কারনে এই সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া মেরুদন্ডের যেকোনো প্রকারের সার্জারীর থেকেও এই সমস্যা হতে পারে।

Erectile dysfunction - Symptoms and causes ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর চিকিৎসা

ইরেকটাইল ডিসফাংশন থেকে মুক্তির উপায়

এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় রোগীর নিজের হাতেই। এর প্রাথমিক উপায় ই হচ্ছে আত্মবিশ্বাসী হওয়া। অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন। তেল/চর্বি জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে ফ্রেশ ও শাক-সবজি জাতীয় পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস করুন। নিজের সঙ্গীনীর সাথে এই বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলুন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সেক্স পার্টনার এর সাথে বুঝাবুঝির ভুলের কারনের মিলনের সময় সুস্থ কারোর ও পারফর্মেন্স লেভেল ডাউন থাকে। দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখুন এবং নিয়মিত কায়িক শ্রম করার অভ্যাস করুন। ধুমপান, মদ্যপান সহ দেহের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাস পরিহার করুন।

তবে সমস্যা সাধারন পর্যায় ক্রস করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। এক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম অনেক কার্যকরী। তাছাড়া মুখে খাওয়া কিছু ঔষধ এর মাধ্যমেও সাময়িক বা দীর্ঘস্থায়ী সুফল পাওয়া যায়। এতে না হলে ইঞ্জেকশন ও আছে কিছু। তাছাড়া চিকিৎসকেরা অনেক সময় কিছু থেরাপি এবং কিছু স্পেশাল ডিভাইস প্রেসক্রাইব করে থাকেন।

আরও পড়ুন : সাপে কাটলে কী করনীয়?

ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর ব্যায়াম

এই রোগের এর জন্য অনেক ধরনের ব্যায়াম থাকলেও এদের মধ্যে কেগেল এক্সারসাইজ সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। এটি-ই একমাত্র ব্যায়াম যা ডাক্তার এবং বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ভেরিফাইড। এই ব্যায়াম আপনার ব্ল্যাডার প্রবলেম সলভ করার পাশাপাশি, যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, ED (Erectile Dysfunction) উন্নত করবে এবং একই সাথে আপনার দেহের পেলভিক ফ্লোরের মাসল গুলোকে আরো স্ট্রং বানাতে সাহায্য করবে। যা আপনার লিঙ্গ-কে ঝুলে পড়া বা গোড়ার অংশে শক্তি না পাওয়ার মতো সমস্যা থেকে রক্ষা করবে।

কেগেল ব্যায়ামের নিয়ম

সোজা হয়ে উপর দিকে তাকিয়ে শুয়ে পড়ুন। সমান যায়গায় শুতে হবে অবশ্যই এবং মাথার নিচে বালিশ জাতীয় কিছু রাখা যাবেনা। দুই পায়ের হাঁটু ভাঁজ করুন এবং পা ফাক করে কোমর উচু করুন। আপনার পুরুষাঙ্গের চারদিকে হাত দিয়ে ধরলে অনুভব করতে পারবেন সেখানে হাড়ের মাঝে একটা খালি যায়গা আছে। সেখানে নিচের দিকে কিছু মাসল থাকে যেগুলো কে পেলভিক ফ্লোর মাসল বলে। এবার চেষ্টা করুন সেই পেশি গুলোকে সংকুচিত এবং প্রসারিত করতে। শুরুতে সমস্যা হবে একটু। পুরুষাঙ্গের পাশাপাশি হওয়ায় দুই অংশের মধ্যে কোনটি তে প্রেসার দিচ্ছেন এটা নিয়ে শুরুতে কনফিউশন হতেই পারে। তবে কয়েকবার করার পর-ই তা ঠিক হয়ে যায়। এরপর একই জিনিস করুন কিন্তু পেলভিক পেশি গুলো কে শক্ত করে কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন। এই পদ্ধতিতে অভ্যস্থ হলে একই জিনিস নিজের শ্বাস বন্ধ রেখে করার চেষ্টা করুন। এই শেষ ধাপটি ১০-১৫ বার করুন। এটি-ই কেগেল ব্যায়ামের প্রসিদ্ধ নিয়ম। এভাবে ১০-১৫ বার করে দিনে ৩বার করে করুন। আরো ভালো ভাবে বুঝার জন্য নিচে দেয়া ভিডিও টি ও দেখতে পারেন।

ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর চিকিৎসা

এই রোগের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা রয়েছে যাদের মাধ্যমে এই রোগ স্বল্প সময়ের জন্য, দীর্ঘ সময়ের জন্য অথবা পুরোপুরি ভাবে সারিয়ে তোলা সম্ভব। এই রোগের চিকিৎসার ধরন গুলো হলোঃ-

মুখে খাওয়ার ঔষুধঃ

এই ঔষুধ গুলো সাময়িক সময়ের জন্য বিশেষ ভাবে কার্যকরী হলেও এগুলোর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে কিছু আবার গুরুতর ক্ষতিকর।
এই ঔষধ গুলো সেবনের পর তা দেহের নাইট্রিক এসিডের প্রচলন বাড়িয়ে লিঙ্গের পেশী শিথিল করে। এতে করে পুরুষাঙ্গে রক্ত প্রবাহের চাপ বৃদ্ধি পায় এবং লিঙ্গ ইরেক্টিভ হতে পারে। তবে এতে করে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায়। এগুলো হলো, চোখে ঘোলা বা বিকৃত আকার দেখা, মাথাব্যাথা, পিঠে বিশেষ করে মেরুদন্ডে ব্যাথা হয়। তাছাড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ও মুখ ফর্সা হওয়ার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও দেখা যায়।

আরও পড়ুন : এজমা/হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায়

ইঞ্জেকশন

ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর চিকিৎসার এই পদ্ধতিতে আলপ্রোস্টডিল নামক একটি বিশেষ ঔষধ লিঙ্গের গোড়ায় ইঞ্জেক্ট করা হয়। এটি ১ঘন্টার মতো সময়ের জন্য লিঙ্গকে ইরেক্টিভ মোডে রাখে। এটি অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং পেশাদার হাতে গ্রহণ করা উচিত। তবে এই চিকিৎসা পদ্ধতি শতভাগ কার্যকরী নয়। গবেষনা অনুযায়ী এর সফলতার হার সর্বোচ্চ ৪৫%। এই ঔষুধের একটি সুবিধা রয়েছে। এটি দুই বা ততোধিক ঔষধের সাথে মিশে গিয়ে অনেক শক্তিশালী এবং কার্যকর হয়ে উঠতে পারে। এই কারনে বর্তমানে এই পদ্ধতি এই রোগের জন্য একটি অন্যতম জনপ্রিয় চিকিৎসা। তবে এই চিকিৎসার ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই চিকিৎসার ফলে লিঙ্গের থেকে রক্তপাত হয় এবং কিছে ক্ষেত্রে ইরেক্টিভ মোড দরকার এর থেকেও বেশি সময় ধরে থাকে। যা খুবই অস্বস্তিকর। একে পেনাইল ইঞ্জেকশন ও বলা হয়।

থেরাপি

ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর চিকিৎসার জন্য দুই ধরনের থেরাপি করা হয়।

১. ইন্ট্রাওরেথ্রাল থেরাপিঃ

এই পদ্ধতিতেও লিঙ্গে আলপ্রোস্টাডিল প্রয়োগ করতে হয়। তবে এটি পেনাল ইঞ্জেকশনের মতো কার্যকরী নয়। এই চিকিৎসায় ১০ মিনিটের মধ্যে ইরেকশন শুরু হয় এবং ৩০-৬০ মিনিট পর্যন্ত ইরেক্টিভ মোড বজায় থাকে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে লিঙ্গে জলন্ত অনুভুতি হওয়া এবং সামান্য রক্তপাত দেখা যায়।

ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর ঔষধ

রোগের মাত্রার উপর ভিত্তি করে চিকিৎসকেরা বিভিন্ন ধরনের ঔষধ প্রেস্ক্রাইব করে থাকেন। আমরা আগেই ইঞ্জেকশন এবং থেরাপি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। গিলে খাওয়া বা মৌখিক ঔষধ গুলো হলোঃ

১। সিলডেনাফিল
২। অভ্যানফিল
৩। ভারডিনাফিল
৪। টাডেলফিল

বিঃ দ্রঃ এখানে শুধু মাত্র ঔষুধের উপাদানের নাম বলা হয়েছে। কোন কোম্পানির বা এক্সাক্টলি কোন ব্র্যান্ডের ঔষুধ সেবন করবেন তা অব্যশই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জেনে নিবেন।

ইরেকটাইল ডিসফাংশন হোমিও চিকিৎসা

আমাদেরে সমাজে অনেকেই মনেপ্রানে হোমিও চিকিৎসায় বিশ্বাস রাখেন। যদিও বর্তমানে অনেক উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে যা দ্বারা এই রোগ থেকে সম্পূর্ন রূপে মুক্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ই হোমিও পদ্ধতির চিকিৎসা সাজেস্ট করেন না। তবুও, অনেকেই সাধারন চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতি-তে বেশি বিশ্বাস রাখেন। তবে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

যৌন অক্ষমতার বিভিন্ন ধরন রয়েছে এবং এই ধরন গুলোর উপর নির্ভির করে কোন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ বা চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়।

১। সন্তান জন্ম দানে অক্ষম হলেঃ কোনিয়াম

এটি বীর্য-কে ঘন করে এবং বীর্যের যেকোনো ধরনের গঠনগত ত্রুটি থাকলে তা ঠিক করে দেয়।

২। ধ্বজভঙ্গের সমস্যা হলেঃ লাইকোপোডিয়াম

বয়স এবং স্নায়ুর ক্ষতি জনিত কারনে এই সমস্যা দেখা যায়। লাইকোপোডিয়াম স্নায়ু গুলোকে সতেজ করে এবং লিঙ্গের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৩। অতিরিক্ত বীর্যপাতে সৃষ্ট যৌন দূর্বলতা হলেঃ এসিড ফস

অনিয়মিত হস্তমৈথুন বা অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে শরীরে যথেষ্ট পরিমানে বীর্য উৎপন্ন হওয়ার আগেই তা আবার ব্যয় হয়ে যায়। এসিড ফস এক্ষেত্রে উপকারী।

৪। হস্তমৈথুন জনিত কারনে সৃষ্ট সমস্যার জন্যঃ ষ্ট্যাফিসাগ্রিয়া

অতিরিক্ত হস্তমৈথুন এর ফলে পিঠে ব্যাথা, দূর্বলতা, লিঙ্গের শিথিলতা সহ ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা ও দেখা যায়। ষ্ট্যাফিসাগ্রিয়া এক্ষেত্রে কার্যকর।

আরও পড়ুন : দ্রুত বীর্যপাতের কারন, চিকিৎসা ও ঔষধ

Frequently Asked Questions (FAQs)

১। ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর বাংলা অর্থ কি?

উত্তরঃ ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর বাংলা অর্থ হলোঃ লিঙ্গ শীথিলতা।

 

২। ইরেকটাইল ডিসফাংশন কেনো হয়?

উত্তরঃ লিঙ্গের স্নায়ুর সমস্যা থেকেই মূলত এই রোগটি হয়। তাছাড়া, হৃদরোগের সমস্যা থেকেও ইরেকটাইল ডিসফাংশন হতে পারে।

 

৩। ইরেকটইল ডিসফাংশন কি ভালো হয়?

উত্তরঃ সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ থেকে সাময়িক ও দীর্ঘস্থায়ী মুক্তি পাওয়া যায়। উপরে এই বিষয়ে বিস্তর আলোচনা করে হয়েছে।

৪। ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর ইঞ্জেকশন কি কি?

উত্তরঃ ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর জন্য আলপ্রোস্টডিল নামের ইঞ্জেকশনটি প্রসিদ্ধ। তবে অব্যশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।

 

৫। পর্নে আসক্তির জন্য ইরেকটাইল ডিসফাংশন হতে পারে?

উত্তরঃ সাধারনত পর্ন আসক্তরা তাদের যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য হস্তমৈথুনের পথ বেছে নেয়। এতে করে লিঙ্গের ক্ষতি সাধন হয় এবং দ্রুতবীর্যপাত ও ইরেকটাইল ডিসফাংশনের মতো সমস্যা দেখা দেয়।

 

৬। হস্তমৈথুনের ফলে কি ইরেকটাল ডিসফাংশন হয়?

উত্তরঃ হ্যাঁ, হস্তমৈথুনের ফলে লিঙ্গের নার্ভ গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ইরেকটাইল ডিসফাংশনের মতো সমস্যা দেখা দেয়।

 

৭। কবিরাজি বা হারবাল ঔষুধ কি লিঙ্গ শক্ত করতে সাহায্য করে?

উত্তরঃ হারবাল ঔষুধ গুলো আপনাকে সাময়িক ভাবে শক্তিশালী করলেও আপনার শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। আর, বর্তমানের বেশিরভাগ কবিরাজ-ই ভুয়া। তবে, কিছু কবিরাজ আছেন যারা সঠিক উপায়ে ভেষজ চিকিৎসা করে থাকেন। এমন অভিজ্ঞ কারো চিকিৎসা নিতে পারলে রোগমুক্তির সম্ভাবনা থাকে।

আরও পড়ুন : সিফিলিস থেকে মুক্তির উপায় – লক্ষণ ও চিকিৎসা

৮। কেগেল ব্যায়াম কতদিন যাবত করতে হবে?

উত্তরঃ সঠিক উপায়ে কেগেল ব্যায়াম ১সপ্তাহ বা এর থেকে বেশিদিন ধরে করলেই যথাযথ ফলাফল পাবেন।

৯। লিঙ্গোত্থানে ব্যবহৃত ঔষুধগুলোর কি কোনো সাইড ইফেক্ট আছে?

উত্তরঃ সকল ঔষুধের মতোই এই রোগের ঔষুধ গুলোরও কিছু সাইড ইফেক্ট রয়েছে। তবে এই মাত্রা হারবাল ও হোমিও ঔষুধের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে।

 

১০। হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি?

উত্তরঃ হস্তমৈথুনের ফলে লিঙ্গের স্নায়ু গুলো নষ্ট হয়ে যায়, অনুভুতি কমে যায়। যার ফলে যৌনক্রিয়ার সময় সম্পূরনরূপে লিঙ্গ শক্ত হয়না। তাছাড়া, এতে করে শারীরিক দূর্বলতা এবং বীর্য পাতলা হয়ে যাওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এতে করে সন্তান জন্মদানেও অক্ষমতা দেখা দেয়।

 

১১। হস্তমৈথুন ছাড়ার উপায় গুলো কি?

উত্তরঃ হস্তমৈথুনের প্রবণতা তাদের মধ্যেই বেশি দেখা যায় যারা একা সময় কাটায় বেশি। বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ঘুরা ও আড্ডা দিয়ে সময় কাটানোর মতো অভ্যাস আপনাকে এ থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাছাড়া, পর্ন কালেকশন থাকলে সেগুলো ডিলেট করে দেয়া, শারীরিক পরিশ্রমের দিকে মনোযোগ দেয়া ও আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। আর সবথেকে বড় কথা, ধৈর্য ধরতে শিখুন।

 

১২। লিঙ্গ শক্ত ও মোটা করার উপায় কি?

উত্তরঃ লিঙ্গ শক্ত করার জন্য আপনার যৌনসক্ষমতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি, এজন্য কেগেল ব্যায়াম অন্যতম প্রসিদ্ধ একটি উপায়। এটি আপনার লিঙ্গের শক্তি বৃদ্ধি করে। লিঙ্গকে মোটা করার জন্য লিঙ্গে ওলিভ ওয়েল মালিশ করতে পারেন নিয়মিত, তবে খেয়াল রাখবেন মালিশ করতে করতে যাতে বীর্যপাত না হয়ে যায়।

 

১৩। কি খেলে লিঙ্গ শক্ত হয়?

উত্তরঃ শতমুলী, রামতুলসী, বাদাম, ছাগলের দুধ ইত্যাদি আপনার যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে। যার ফলস্বরুপ লিঙ্গের ক্ষমতা ও বাড়ে। তাছাড়া কিছু হোমিও এবং এলোপ্যাথিক ঔষুধ রয়েছে যা আপনার লিঙ্গ শক্ত করতে সাহায্য করে। তবে এমন ঔষুধ গুলোর বেশিরভাগের-ই সাইড ইফেক্ট রয়েছে। সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।

১৪। সহবাসের সময় স্ত্রীর করনীয় কি?

উত্তরঃ আমাদের দেশের মেয়েদের মাঝে সহবাসের সময় নিথর হয়ে শুয়ে থাকার প্রবণতা দেখা যায় যায়। তারা এটাকে একতরফা ভাবে নেয়। এতে করে উভয় সঙ্গীর কেউ-ই সঙ্গমের আনন্দ নিতে পারেনা। এক্ষেত্রে উচিত স্ত্রীর ও রেসপন্স করা, কারন এটি উভয়সঙ্গীর জন্যই উপভোগ্য।

 

Disclaimer: এ ওয়েবসাইটে দেওয়া সকল তথ্য শুধুমাত্র জানার জন্য। উপরে উল্লেখিত হোমিও চিকিৎসার যুক্তি গুলো বা চিকিৎসা পদ্ধতি গুলোর একটি ও মর্ডান সাইন্স সঠিক হিসেবে অনুমোদন দেয় না। তাই যেকোনো চিকিৎসা বা সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

 

——————–THE END————————

Reference: