নিউমোনিয়ার লক্ষণ বা উপসর্গ
এটি একটি ফুসফুসের রোগ। এ রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ গুলো হলো-
১। কাশি : কাশি শুকনা হতে পারে আবার কফযুক্ত ও হতে পারে। কফযুক্ত হলে অনেকসময় কফ ঘন হলুদ বা সবুজ বা বাদামী রঙযুক্ত হতে পারে। কফে রক্ত ও থাকতে পারে।
২। শ্বাসকষ্ট : এ রোগ হলে দ্রুত ও পাতলা শ্বাস প্রশ্বাস হয়ে থাকে। এমনকি বিশ্রামরত অবস্থায়ও এমন হয়।
৩। জ্বর আসা।
৪। বুকে ব্যথা হওয়া : শ্বাস প্রশ্বাস উঠানামার সাথে বুকে ব্যথা হয়।
৫। অস্থিরতা ভাব সৃষ্টি হয় এবং শরীরে কাঁপুনি আসে। কাঁপুনির সাথে সাথে ঘাম হয়।
৬। রোগীর বমি বমি ভাব হয় এবং বমি হয়।
৭। খাবারে অরুচি দেখা দেয়।
৮। হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়ে থাকে।
৯। শ্বাসকষ্টের কারনে রোগীর খিঁচুনি হতে পারে।
১০। এ রোগে রোগীর মাথা ব্যথা হতে পারে।
১১। শরীরে একটা ক্লান্তি ভাব থাকে।
১২। জয়েন্ট এবং মাংসপেশিগুলোতে ব্যথা হতে পারে।
নিউমোনিয়া পরীক্ষা
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পর চিকিৎসক আপনার ব্যপারে বেশ কিছু তথ্য জানতে চাইবে। আপনার শারীরিক অবস্থা জানতে চাইবে। তারপর তিনি স্টেথিস্কোপের মাধ্যমে ফুসফুসের অবস্থা পরীক্ষা করবেন। সব কিছু দেখার পর ডাক্তার বেশ কিছু পরীক্ষা করতে দিবেন। সেগুলো হলো-
রক্ত পরীক্ষা
রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মূলত কোন ধরনের জীবাণুর আক্রমণে এ রোগ হয়েছে সেটি নির্ণয় করা হয় এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে বলে দিবেন কোন ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
বুকের এক্স-রে
বুকের এক্স – রে এর মাধ্যমে নিউমোনিয়া হয়েছে কিনা ডাক্তার সেটি বুঝতে পারবেন এবং ফুসফুসের কোন জায়গায় নিউমোনিয়া হয়েছে সেটিও বুঝতে পারবেন।
পালস অক্সিমেট্রি
এ পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেন লেভেল নির্ণয় করা হয়। যেহেতু নিউমোনিয়া হলে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হয় এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায় সেহেতু এ পরীক্ষাটি ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে চিকিৎসক বুঝতে পারেন যে রোগীর রক্তে কেমন অক্সিজেন রয়েছে এবং সে অনুযায়ী তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
স্পাটাম টেস্ট (Sputum test)
এ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর ফুসফুস থেকে তরল পদার্থের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয় নিউমোনিয়াকে আরও গভীরভাবে পরীক্ষা করার জন্য।
উপরের এ ৪টি পরীক্ষাই নিউমোনিয়ার প্রধান পরীক্ষা। এগুলো ছাড়াও ডাক্তার কিছু আলাদা পরীক্ষা দিতে পারেন। এর মধ্যে হল –
সিটিস্ক্যান
প্রাথমিক পরীক্ষাগুলো মাধ্যমে নিউমোনিয়া ভালোভাবে বুঝা না গেলে ডাক্তার বুকের সিটিস্ক্যান পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। এ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর ফুসফুসের আরও ডিটেইলস ইমেজ সংগ্রহ করা হয়।
প্লিউরাল ফ্লুইড কালচার
ফুসফুসের আবরণকে প্লিউরা বলা হয়। প্লিউরাল এরিয়া বলতে যে জায়গায় ফুসফুস অবস্থান করে সে জায়গাকে বুঝানো হয়। প্লিউরাল এরিয়া থেকে একটা সুইয়ের মাধ্যমে তরল পদার্থ সংগ্রহ করে এ পরীক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুন : নিউমোনিয়া কি প্রাণঘাতি? আজই নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করুন।
নিউমোনিয়ার চিকিৎসা বা প্রতিকার
মৃদু নিউমোনিয়া খুব সহজেই বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেওয়া যায়। বাড়িতেই মৃদু নিউমোনিয়া ভালো হয়ে যায়। কিন্তু এ রোগ বেড়ে গেলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শকৃত ওষুধ, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং প্রচুর পানীয় পান করার মাধ্যমে ঘরেই এ রোগ থেকে সুস্থ হওয়া যায়। ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসক রোগীকে এন্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন। এন্টিবায়োটিকের কোর্স আপনাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ করতে হবে। কেননা এন্টিবায়োটিক খাওয়া মাঝপথে ছেড়ে দিলে কিংবা নিয়ম মেনে না খেলে ওই ব্যাকটেরিয়া এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাবে এবং এর ফলে ওই ব্যাকটেরিয়াকে এন্টিবায়োটিক দিয়েও ধ্বংস করা সম্ভব হবে না।
চিকিৎসা শুরু করার পর আপনি আস্তে আস্তে সুস্থ হতে থাকবেন। আপনি কত তাড়াতাড়ি সুস্থ হবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার নিউমোনিয়া কতটা গুরুতর ছিল। সাধারণত ১ সপ্তাহের মধ্যে জ্বর ভালো হয়ে যায়, ৪ – ৬সপ্তাহের মধ্যে বুকে ব্যথা এবং কফযুক্ত কাশি ভালো হয়ে যায়। ৩ মাসের মধ্যে শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়ে যায় এবং ৬ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ নিউমোনিয়া থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।
এ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত উপাদানগুলো হলো-
১। এন্টিবায়োটিক
ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়ায় এন্টিবায়োটিক খেতে হবে। অন্যান্য নিউমোনিয়ায় এন্টিবায়োটিক খেতে হবে না কেননা ব্যাকটেরিয়া ছাড়া অন্যান্য জীবাণুর বিরুদ্ধে এন্টিবায়োটিক কর্মক্ষম নয়। এন্টিবায়োটিকের কোর্স অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এন্টিবায়োটিক খেয়ে কোনো পরিবর্তন লক্ষণীয় না হলে ডাক্তার অন্য এন্টিবায়োটিক দিয়ে থাকবেন।
২। কাশির ওষুধ
কাশির ওষুধ দেয়া হয় মূলত রোগীর কাশি কমানোর জন্য যাতে রোগী কিছুটা স্বস্তি পায়। তাছাড়া বেশি কাশির ফলে বুকে ব্যথা, গলাব্যথা, মাথাব্যথা ইত্যাদি হয়ে থাকে। আবার বেশি কাশির ফলে ফুসফুস থেকে তরল জাতীয় পদার্থের ক্ষরণ বেশি হয়ে থাকে।
৩। জ্বর সারানোর ওষুধ
রোগীর জ্বর থাকলে ডাক্তার জ্বর ভালো হওয়ার জন্য ওষুধ সেবন করার পরামর্শ দিবেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এ ওষুধ সেবন করতে হবে।
৪। ব্যথানাশক ওষুধ
এ রোগে যেহেতু বুকে, মাংসপেশিতে এবং জয়েন্টে ব্যথা হয় তাই ডাক্তার আপনাকে ব্যথানাশক ওষুধ দিতে পারেন। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এ ওষুধ সেবন করতে হবে।
উপরিউক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে ঘরে বসেই নিউমোনিয়ার চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব। কিন্তু নিয়মগুলো না মানলে এবং রোগের পরিস্থিতি আরও গুরুতর হলে আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। বিশেষ করে ২ মাসের কম বয়সী বাচ্চাদের এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্বে বয়স্কদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
নিউমোনিয়া নিরাময়ে ব্যবহৃত ওষুধ ও এন্টিবায়োটিক
১। এন্টিবায়োটিক : ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়ায় বেশ কয়েকধরনের এন্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এজিথ্রোমাইসিন, ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন, টেট্রাসাইক্লিন, লেভোফ্লোক্সাসিন, অ্যামোক্সিসিলিন ইত্যাদি।
২। এন্টিভাইরাল : ভাইরাল নিউমোনিয়ায় বেশ কয়েকধরনের এন্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহৃত হলেও সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় Relenza (zanamivir)।
৩। এন্টিফাঙ্গাল : ফাঙ্গাল নিউমোনিয়ায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এন্টিফাঙ্গাল হলো ফ্লুকোনাজোল (Fluconazole)।
৪। জ্বর ও ব্যথা নিরাময়ে ওষুধ : জ্বর ও ব্যথা নিরাময়ে সাধারণত এসপিরিন জাতীয় ওষুধ, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন, এসিটামিনোফেন ইত্যাদি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। শিশুদেরকে এসপিরিন ওষুধ দেয়া যাবে না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিশ্চিত করবেন রোগী কোন কোন ওষুধ গ্রহন করবেন।
৫। কাশি নিরাময়ে ওষুধ : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাশি নিরাময়ের বিভিন্ন ওষুধও পরামর্শ করে থাকেন।
নিউমোনিয়ার টিকা বা ভ্যাকসিন
যদিও নিউমোনিয়ার টিকা এ রোগকে সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করতে পারে না, তবুও টিকা এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। সাধারণত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই ভালো তাদের এ টিকা নেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল, বয়স ৬৫ উর্ধ্ব, ধূমপান করে, মদ্যপান করে, সম্প্রতি কোনো সার্জারি বা বড় রোগ থেকে সুস্থ হয়েছে তাদের এ ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
এ টিকা নেওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। বছরের যেকোনো সময়েই এ টিকা নেওয়া যায়। সাধারণত দুই ধরনের নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন রয়েছে। এরা হলো PCV13 ও PPSV23। PCV13 টিকাটি ১৩ ধরনের নিউমোনিয়ার ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং PPSV23 টিকাটি ২৩ ধরনের নিউমোনিয়ার ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে। সাধারণত দুটি টিকাই নিতে হয়। PCV13 টিকা নিতে হয় প্রথমে এবং এর অন্তত ১ বছর পর PPSV23 টিকাটি নিতে হয়।
নিউমোনিয়া রোগীর খাবার তালিকা
এ রোগে আক্রান্ত রোগী যেসকল খাবার খেলে দ্রুত নিউমোনিয়া কাটিয়ে উঠতে পারবেন তা নিচে দেয়া হল:-
১। পানি : এ রোগে বেশি বেশি পানি পান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি কফকে পাতলা করতে সাহায্য করে।
২। দানাদার শস্য : এ রোগে দানাদার শস্য যেমন ভাত, বার্লি, ওট, কুইনোয়া ইত্যাদি অনেক উপকারী।
৩। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার : প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু লাল মাংস অর্থাৎ গরু, ছাগল, মহিষের মাংস বর্জন করাই ভালো। প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য মুরগীর মাংস, মাছ, বাদাম, মটরশুঁটি ইত্যাদি অনেক উপকারী।
৪। সবুজ শাকসবজি : এ রোগে সবুজ শাকসবজি বেশি বেশি খেতে হবে। তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
৫। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল : ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন কমলা, মাল্টা, জাম ইত্যাদি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং নিউমোনিয়ার জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
৬। মধু : মধুকে বলা হয় সকল রোগের মহৌষধ। মধুতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে থাকে। তাই এ রোগে মাঝে মধ্যে মধু খান।
৭। হলুদ : হলুদে এন্টি-ইনফ্ল্যামেটরী উপাদান রয়েছে যা বুকের ব্যথা প্রশমনে সাহায্য করে।
৮। আদা : আদা তেও এন্টি – ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে যা বুকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৯। দই : দই এ রোগের জন্য উপকারী। দই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
১০। ভিটামিন ও খনিজ লবণ সমৃদ্ধ খাবার : যেকোনো ভিটামিন ও খনিজ লবণ সমৃদ্ধ খাবার এ রোগে গুরুত্বপূর্ণ কেননা এরা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে নিউমোনিয়ার জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
আরও পড়ুন : হেপাটাইটিস বি এর লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়
যেসব খাবার খাওয়া যাবে না
এ রোগে যেসকল খাবার খাওয়া যাবে তার তালিকা নিচে দেয়া হল:-
১। অতিরিক্ত লবণ : অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। পরিমিত পরিমানে লবণ খাওয়া যাবে। অতিরিক্ত লবণ শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্টকে বাড়িয়ে তুলে।
২। হিমায়িত খাবার : হিমায়িত খাবার বা অতিরিক্ত ঠান্ডায় জমাট বাঁধিয়ে সংরক্ষণ করা খাবার না খাওয়াই ভালো। এগুলো নিউমোনিয়ার জন্য ক্ষতিকর।
৩। ঠান্ডা খাবার : এ রোগে ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। সবসময় গরম খাবার খেতে হবে।
৪। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার : এ সময়ে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার না খাওয়াই ভালো হবে।
৫। ভাজা পোড়া খাবার : ভাজা পোড়া খাবার এমনিতেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এ রোগে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এমন খাবার খেতে হবে।
৬। ধূমপান : কোনোভাবেই ধূমপান করা যাবে না। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
নিউমোনিয়া হলে করণীয়
- ঠান্ডা খাবার ও ঠান্ডা পরিবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। গরম খাবার খেতে হবে এবং শীতকালে গরম পোষাক পরিধান করতে হবে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এমন খাবার নিয়ে খাবার তালিকা করতে হবে।
- ধূমপান পরিহার করতে হবে।
- চিকিৎসকের পরামর্শমতো নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে।
- এন্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করলে কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।
- বেশি পরিমানে পানি ও জলীয় খাবার খেতে হবে।
Frequently Asked Questions (FAQs)
প্রশ্ন : নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে কোন ব্যাকটেরিয়া?
উত্তর : স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি।
প্রশ্ন : নিউমোনিয়া কতদিন থাকে?
উত্তর : এটা নির্ভর করে আপনি কিভাবে চিকিৎসা করছেন। ভালো ভাবে চিকিৎসা করালে ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে জ্বর, কাশি, বুকে ব্যথা এসব ভালো হয়ে যায় এবং ৩-৬ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ নিউমোনিয়া ভালো হয়ে যায়।
প্রশ্ন : বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে?
উত্তর : ১২ নভেম্বর।
প্রশ্ন : নিউমোনিয়া কি প্রাণঘাতি?
উত্তর : হ্যাঁ সঠিকভাবে চিকিৎসা না করলে নিউমোনিয়া প্রাণঘাতি হতে পারে। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ রোগে মৃত্যুর হার বেশি।
আরও পড়ুন : সিফিলিস থেকে মুক্তির উপায় – লক্ষণ ও চিকিৎসা
Disclaimer :এ ওয়েবসাইটে দেওয়া সকল তথ্য শুধুমাত্র জানার জন্য। রোগীকে সরাসরি না দেখে এবং রোগীর পরীক্ষা না করে রোগ এবং রোগের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই নিজে নিজে কোনো ওষুধ খাবেন না। অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
Reference: