” যারা কাছে আছে তারা কাছে থাক,
তারা তো পারে না জানিতে
তাহাদের চেয়ে তুমি কাছে আছ
আমার হৃদয়খানিতে ”
নিমাই ভট্টাচার্য্য এর লেখা ” মেমসাহেব ” উপন্যাসটি শুরু হয় উপর্যুক্ত কয়েকটি লাইন দিয়ে।
এই উপন্যাসের সবচেয়ে অবাক করা বিষয়টি হলো, এই উপন্যাসের সকল কথোপকথন সাংবাদিক বাচ্চু চিঠির মাধ্যমে তার দোলা বৌদির কাছে উপস্থাপন করেছে। এই উপন্যাসের মূল কেন্দ্রবিন্দু ” মেমসাহেব “।
মা হারা বাচ্চু নামক ছেলে ছোটবেলা থেকে নানা অকল্পনীয় দুঃখ কষ্ট নিয়ে বড় হওয়ার পর সামান্য বেতনে সাংবাদিকতার চাকরি করতো। কিন্তু সেই সামান্য বেতরে তার জীবন চলতো না। ঘটনাক্রমে বাচ্চুর পরিচয় হয় এক মহিলার সাথে। বাচ্চু তাকে মেমসাহেব বলেই ডাকতো। এই মেমসাহেবই বাচ্চুর জীবন বদলাতে ও তাকে অনুপ্রেরণা দিয়ে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সামান্য মাইনে নিয়ে হতাশায় থাকা বাচ্চুকে স্বাবলম্বী
করে তোলেন এই মেমসাহেব। ভালোবাসায় রূপ নেয় তাদের সম্পর্ক। মূলত সাংবাদিক বাচ্চুকে মেমসাহেব তার অফুরান ভালোবাসা দিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী করে তোলে।
তাদের ভালোবাসাকে পরিণতি দিতে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। বিয়েকে ঘিরে তাদের নানান ইচ্ছা, নানা জল্পনা-কল্পনা ইত্যাদি চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন লেখক এই উপন্যাসে।
লেখক আসলে পরবর্তীতে তার সেই মেমসাহেবকে হরিয়ে ফেলে সারাজীবনের জন্য।
ভালোবাসা হারানোর কষ্ট লেখক কখনই মেনে নিতে পারেনি। কি হয়েছিল মেমসাহেবের?, কেনইবা লেখক হারিয়ে ফেলেছিল মেমসাহেবকে, কেনইবা ফাল্গুনে হলো না বিয়ে বাচ্চু আর মেমসাহেবের সম্পূর্ণ গল্প জানতে পড়তে হবে নিমাই ভট্টাচার্য্যের লেখা উপন্যাস ” মেমসাহেব “।
Reviews
There are no reviews yet.