হুমায়ূন আহমেদ এর লেখ একটি উপন্যাস ” মেঘ বলেছে যাব যাব “। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো হাসান নামক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের একজন বেকার যুবক। তাকে ঠিক বেকারও বলা যায় না। কারণ হিশামুদ্দিন নামক কোটিপতি ব্যবসায়ী এক ব্যক্তির জীবনের গল্প লেখা ছিল হাসানের কাজ। সপ্তাহে একদিন ঘণ্টা হিসেবে কাজ করে উপার্জিত অর্থই ছিল হাসানের আয়ের একমাত্র উৎস।
তিতলী ছিল হাসানের ভালোবাসার মানুষ। হাসান তিতলীকে ভীষণ ভালোবাসতো। তবে হাসান তার ভালোবাসা ততোটা প্রকাশ করতে পারতো না। তবে হাসান তার ভালোবাসা প্রকাশ করতো ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে। যেমন: তিতলীকে চিঠি লেখা, নানা অজুহাতে তিতলীর বাড়ি যাওয়া, বুড়িগঙ্গায় নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানোসহ অন্যকে বলতে না পারা মনের নানা কথা প্রকাশের মাধ্যমে। তিতলীও খুব ভালোবাসতো হাসানকে। কিন্তু হঠাৎ করে কি এমন হলো যে বিয়ে করে অন্যের ঘরে চলে যেতে হয় তিতলীকে।তাহলে এখানেই কি সব শেষ হয়ে যায় তাদের ভালোবাসার? সম্পূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে জানতে হলে পড়ে ফেলতে হবে হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা উপন্যাস ” মেঘ বলেছে যাব যাব “।
হাসানের পরিবারে রয়েছে মা-বাবা, দুই ভাই,ভাবি, ভাইয়ের দুই ছেলে আর ছোট বোন। যাদের চরিত্র লেখক অত্যন্ত সুন্দর করে উপস্থাপন করেছে। মূলত মধ্যবিত্তদের সুখ-দুঃখ,চাওয়া-পাওয়া, জীবনযাপন,ভালোবাসা, কষ্ট, ব্যর্থতা ইত্যাদি আরও নানা বিষয় চমৎকারভাবে বর্ণিত হয়েছে এই উপন্যাসে। এ উপন্যাসে অন্যতম একটি চরিত্র হলো চিত্রলেখা। কে এই চিত্রলেখা? জানতে হলে পড়তে হবে ” মেঘ বলেছে যাব যাব ” উপন্যাসটি।
Reviews
There are no reviews yet.