স্বপ্ন দেখে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কষ্টকর। তবে সেই স্বপ্ন দেখে তাকে লালন করা, স্বপ্ন পূরণে সকল বাধা অতিক্রম করে স্বপ্ন পূরণ করা মোটেও সহজ বিষয় নয়। তার জন্য প্রয়োজন দৃঢ় আত্নবিশ্বাস,সততা ও লক্ষ্যে অবিচল থাকা।
হাজারী ঠাকুর করেন রান্নার কাজ। রানাঘাট শহরে বেচুঁ চক্রবর্তীর হোটেলে রাঁধুনি হাজারীকে চেনে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না। হাজারীর রান্নার হাত বেশ ভালো। তার হাতের রান্না যে একবার খেয়েছে তাকে বারবার আসতেই হবে এই হোটেলে। মূলত তার জন্যই চলছে এই হোটেল। তবুও বেচুঁ চক্রবর্তী ও পন্ম ঝি তাকে যেন সহ্যই করতে পারে না। সামান্য কিছু মাইনে দিত হাজারীকে বেচুঁ চক্রবর্তী। পদ্ম ঝি যেন সামান্য সুযোগও ছাড়ে না হাজারীকে অপমান করার। তবুও হাজারী তাদের কিছু বলে না কখনো। হাজারী স্বপ্ন দেখে তার নিজের একটা হোটেল হবে। আর সেই হোটেলের নাম দিবেন ” আদর্শ হিন্দু হোটেল “।
হাজরী ছিলো সৎ, নিরহংকারী একজন সাধারণ মানুষ। যে কিনা মিথ্যা ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়। পরবর্তীতে তাকে ছড়তে হয় সেই হোটেল। এমনকি তাকে জেলও খাটতে হয়েছে।পরবর্তীতে ভাগ্যের খেলায় একদিন হাজারী দিতে পেরেছিল তার স্বপ্নের হোটেল। একদিন সেই হোটলেই হাজারীর দরজায় এসে দড়িয়েছেলো বেচুঁ চক্রবর্তী ও পন্ম ঝি।
যাদের দ্বারা সবসময় অপমানিত হত হাজারী, যাদের চক্রান্তের স্বীকার হয়ে জেলে পর্যন্ত যেতে হয়েছিল হাজারীকে। তাদের কিন্তু ফিরিয়ে দেয় নি হাজারী। বরং তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো।
কে করেছিলো চক্রান্ত?, আর চক্রান্তটাই ছিল কি?,কিভাবে করলো হাজারী তার স্বপ্ন পূরণ? চমৎকার এই উপন্যাসের সমাপ্তি সম্পর্কে জানতে হলে পড়তে হবে ” আদর্শ হিন্দু হোটেল “।
Reviews
There are no reviews yet.