শ্রীপান্থের লেখা ” হারেম ” বইয়ে মূলত বর্ণিত হয়েছে তুর্কী সুলতান ও মুঘোল বাদশাহদের হারেমের চিত্র। এছাড়াও মাঝে মাঝে অযোধ্যার নবাব বা বিজয়নগরের হিন্দু রাজার হারেমের গল্পও উঠে এসেছে এই বইয়ে।
হারেম শব্দের বাংলা অর্থ দারায় ” রাজা বাদশাহদের অন্তঃপুর “। হরেমে স্থান ছিলো নানান দেশের সব সুন্দরী নারীদের। মূলত ক্ষমতার জোরে তাদের হারেমে রাখতেন রাজা-বাদশারা। তাদের মধ্যে কেউ হতেন স্ত্রী, আাবার কেউবা হতো দাসদাসী। হারেম ছিল এক টুকরো স্বর্গ। কারণ সেখানে নেই কোনো খাবারের অভাব, নেই কোনো পানীয়ের অভাব, নেই কোনো বিলাসিতার অভাব। কিন্তু তাও সেখানে নারীরা সুখী ছিলো না। তারা ছিল সোনার খাঁচায় বন্দী। তাদের যেই রাজা-বাদশারা নিয়ে এসেছিলো তাদের বা অন্য পুরুষের সাথেও তাদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার খুব একটা সুযোগ মিলতো না।
শুধু নারীরা বন্দী থাকতো তা নয়। হারেমে রাখা হত প্রিয় দর্শন বালক। তাদের থেকে জোর করে পুরুষত্ব কেড়ে নেওয়া হতো। আর সুন্দরী নারীদের পাহারা দেওয়াই ছিলো তাদের একমাত্র দায়িত্ব। অনেকর জীবন শেষ হয়ে যেত এই হারেমে আসার ফলে। সুখ শান্তি বলে কিছু থাকতো না তাদের মনে।আসলে হারেম হলো স্বর্গের মধ্যে নরকের যন্ত্রণা।
হারেমের রাজা-বাদশারাও ছিলো না সুখী ও নিরাপদ। কারণ যে কোনো সময় হতো নানা সমস্যা। কারণ আজ যে রাজা পরে তার রাজত্ব চলে যাওয়াতে তার স্থান হতো কারাগারে অথবা কবরে। ছিলো না জীবনের কোনো নিশ্চয়তা।
হারেমে ঘটতো আরও নানা ঘটনা। আরও নোংরা অন্যায় অত্যাচার। এগুলো জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে শ্রীপান্থের লেখা ” হারেম “।
Reviews
There are no reviews yet.